এই বছরের শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ইথোপিয়ান প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আবি আহমেদ আলীর অবদান ছিলো পাশের দেশ ইরিত্রিয়ার সাথে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটানো। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় নোবেল কমিটি এমন ঘোষণা দেন।
তবে এই ঘোষণার পর থেকেই তাহেরি ও তার ভক্তদের মাঝে একটা তীব্র ক্ষোভ দেখা যায়। চারপাশে দিনের পর দিন শান্ত পরিবেশ ছড়িয়ে দিয়েও নোবেল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন হুজুরের ভক্তকূল। এসময়ে বেশ কিছু ভক্তকে অশান্ত হতেও দেখা যায়। নোবেল কমিটির এমন হটকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চারপাশে হৈ চৈ পড়ে যায়।
দলে বলে হৈ চৈ করায় এই হৈ চৈ শান্ত পরিবেশের মতোই ভাইরাল হয়ে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমিতে। ফলে হুট করেই রয়্যাল সুইডিশ একাডেমিতে থাকা নোবেল কমিটির শইল্লে নতুন করে ভাব চলে আসে। তারা বুঝতে পারেন বিশাল একটা মিসটেক হয়ে গেছে। এরপর ইন্টারনেটে তাহেরি হুজুর সম্পর্কে জানতে চেয়ে আরো বেশি করে অবাক হন নোবেল কমিটি।
শান্ত পরিবেশে বসে নোবেল কমিটি জানান- “একটা মানুষ মার্কেট পেয়ে গেছে না চিল্লায়ে! আর আমরা সেটা জানিই না। চারপাশের হৈ চৈ পরিবেশ বন্ধেও তো রয়েছে তাহেরী হুজুরের বিশেষ অবদান। একই সাথে শান্ত পরিবেশ ভাইরাল করেছেন দেশে ও বিদেশে। আবি আহমেদ আলী কী করেছে? মাত্র একটা শান্তি চুক্তি। আর সবচেয়ে বড় কথা হুজুর তো একজন ইনফ্লুয়েন্সার! দেশের তরুন সমাজকে ইনফ্লুয়েন্স করে তাদের মাধ্যমেই শান্ত পরিবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছেন দেশে ও বিদেশে! হুজুরের অবদানের কাছে আবু আহমেদের এই অবদান কিছুই না। তাছাড়া হুজুর যা কন তা-ই তো মার্কেট পায়। হুজুরের শান্তভাবে মার্কেট ফাওনের উপ্রে সম্মান রেখে আমরা শান্তিতে নোবেলের জন্য হুজুরকে পুর্ণবিবেচনা করলাম।”
এ সময়ে নোবেল কমিটি দলেবলে তাহেরি হুজুরের শিষ্যত্ব গ্রহণের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন। একই সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের বৈঠকে মধ্যস্ততাকারী হিসেবেও তাহেরি হুজুরকে রাখার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।