মুখে ব্রণ হওয়াটা একটা নির্দিষ্ট বয়সে সর্দিকাশির মতই। কখনো কখনো সেই ব্রণের মাত্রা এতটাই প্রকট হয় যে মানুষের চেহারাকে পিচের ঢালাই উঠে যাওয়া রাস্তার মত লাগে। সাথে ফ্রি ব্যাথা তো আছেই। পৃথিবীতে সব মানুষ আলাদা আলাদা হলেও ব্রণ উঠেছে এমন সব মানুষের জীবন চক্র প্রায় একই হয়ে যায়। সবার সাথে ঘটে একই ঘটনা। মুখে ব্রণ উঠার পর কী ঘটে সেইসব অভাগাদের সাথে! জীবন থেকে নেয়া সেইসব অভিজ্ঞতাই তুলে ধরেছেন নাজমুল হক তার ব্রণতুতো ভাইদের – বোনদের জন্য
১#
রাস্তাঘাটে, পাড়ায় মহল্লায় পরিচিত সবাই আপনার অবস্থা জিজ্ঞেস করার আগে আপনার ব্রণের অবস্থা জিজ্ঞেস করবে।
অনেক দিন পর বন্ধুকে পেয়ে জিজ্ঞেস করবেন-কেমন আছিস বন্ধু?
আপনার বন্ধু বলবে-আমি ভালো! তোর ব্রণের কী অবস্থা?
২#
হুট করেই চারপাশে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ স্পেশালিস্ট আবিষ্কার করবেন। আপনার আশেপাশে এত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, এটা ভেবে অবাক হওয়ার আগেই তারা, ব্রণ কিভাবে যাবে? কি করতে হবে? ইত্যাদি পরামর্শ দিতে শুরু করবে। কেউ সকাল বেলা বেলের শরবত খেতে বলবে, কেউ পায়খানা ক্লিয়ার করার কথা বলবে।
৩#
পাবলিক বাসের হকার আপনার সামনে দাড়িয়ে আপনার চেহারার দিকে তাকিয়ে “খাঁটি সমুদ্রের শঙ্কচুর্ন”র প্রচারনা করবে। আপনার আগ্রহ না পেলে সরাসরি আপনাকে বলবে “ভাই, আপনার তো লাগবে, একবার ব্যবহার করলে চেহারা একদম আয়নার মত হয়ে যাবে। আপনার গার্লফ্রেন্ড চাইলে আয়নার পরিবর্তে আপনার মুখ ব্যাবহার করে মেকআপ ঠিক করতে পারবে!”
৪#
খুব দ্রুতই বন্ধু মহলে আপনার নাম পরিবর্তন হয়ে “ব্রণ বাবা” হয়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবণা আছে। কপাল খারাপ হলে এই নাম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহন করার মহান দায়িত্বও তারাই নিয়ে নিবে।
৫#
আপনার নিজের হাতের উপর নিজের কোন ধরণের নিয়ন্ত্রনই থাকবে না। হাত সয়ংক্রীয়ভাবে যখন-তখন যেখানে-সেখানে খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে মুখেমন্ডলে চলে গিয়ে লাঙ্গল চালিয়ে মুখমন্ডলে ব্রণের উর্বরতা হুহু করে বাড়িয়ে দিবে।