‘গাঁজার নৌকা পাহাড়তলী যায়’- বিখ্যাত এই গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই চট্টগ্রামের মোঃ রুবেল রনি নামের এক ব্যক্তি গাঁজার তোশক নিয়ে দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং এয়ারপোর্টে এসে কাঁকড়া বান(ধরা) খান। এই সুযোগে ঝোপ বুঝে কোপ মেরে বসেন আমাদের ঘুমে থাকা প্রতিবেদক যার হিসাব থাকে না। তিনি এই ব্যাপারে রুবেলের কাছে জানার জন্য গেলে জনাব রুবেল প্রথমে কিছু বলার জন্য রাজি হননি, পরে এয়ারপোর্টের বডি বিল্ডার টাইপ একজন গার্ড এসে থাপড়ানোর ভয় দেখাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হন। তিনি তখন বলেন- “ওই মিয়া আমারে ভয় দেখান কেন? আমি কি ভয় পাই নাকি? আমি দাউদ ইব্রাহিমের ভাই বিরাদার মিয়া!” তবে তিনি তখনই কথা বলা শুরু করেন।
এদিকে তার এমন অভিনব মাদক পাঁচারের আইডিয়া দেখে গতকাল রাতেই তাকে ফোন করেছেন এশিয়ার সবচেয়ে বড় মাফিয়া সদস্য দাউদ ইব্রাহিম। তিনি জরুরী ভিত্তিতে দেখা করতে চান বলে জানান। ডন পত্রিকায় এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান – “দেখেন ভাই এতদিন ধরে এই ব্যবসার সাথে আমি জড়িত। কিন্তু কখনোই আমার মাথায় এমন বুদ্ধি চাপে নাই!”
কিন্তু আমাদের প্রতিবেদক যখন তাকে জিজ্ঞেস করেন তিনি কেনো এ কাজ করেছেন তখন তিনি বলেন- “নৌকা ভর্তি কইরা মানুষ গাঁজা পাহাড়তলী নিয়া যায় কিছু হয়না, তা নিয়া গানও হয়া যায়, আর আমি একটা তোশকে কইরা কিছু গাঁজা দুবাই নিয়া যামু, আটকায়া রাখলো আমারে!” যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় সব ছেড়ে তোশকেই কেন গাঁজা নিচ্ছেন? তখন তিনি বলেন “সবাই গাঁজা খেয়ে উঁচু (High) হয় আর আমি গাজার উপর শুয়ে উঁচু হই। তাই ভাবসিলাম তোশকে গাঁজা ভইরা নিয়া গিয়া একটু আরামে ঘুমায়া উঁচু হমু আর কি! হেহে! আমিতো খামুনা, শুধু একটু উঁচু (!) হমু, এটাকি কোনো দোষের? আপনারাই কন”!
এরপর সেই বডি বিল্ডার টাইপ ভদ্রলোক এসে আবার তাকে থাপড়ানোর ভয় দেখাইলে এবার উনার পাশাপাশি আমাদের প্রতিবেদকও ভয় পায়। এরপর ঘুমে থাকা প্রতিবেদক পুরোপুরি সংবাদ সংগ্রহ না করেই ওখান থেকে পালিয়ে যায়।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।