বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে “জীবন মানেই জি বাংলা”। বাংলার আকাশে বাতাসে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, ঘরে ঘরে বাজছে যুদ্ধের দামামা। অনেকের জীবনে নেমে এসেছে আজ কালো মেঘ তবে এ তো সবে শুরু আরো অনেক কিছু বাকি গুরু। জি বাংলা এমন করে বন্ধ করে দেওয়াতে আর কি কি হতে পারে আমাদের ব্যক্তি, সামাজিক এবং জাতীয় জীবনে চলেন একটু জেনে আসি।
#১
#২
এখন থেকে আন্টিরা রান্নায় মনোযোগী হওয়াতে কেউ আর পোড়া ভাত/তরকারির তেতো স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে না এবং লবন ছাড়া তরকারির স্বাদ গ্রহণের মতো মহৎ ব্যাপার থেকেও বঞ্চিত হবে
#৩
নতুন করে কেউ পাখি ড্রেসের জন্য বাহানা তৈরী করে আত্মহত্যা করতে পারবে না, ফলে সংবাদ চ্যানেল ও পত্রিকাগুলো সংবাদের অভাবে না খেয়ে মরবে
#৪
পাশের বাসার ভাবিটা আজ কোন কালারের শাড়ি পরে বের হয়েছে এবং দুপুর বেলাতেই কেন বের হয়েছে এসব নিয়ে অন্য ভাবীদের গবেষণা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে দেশের গবেষণা খাত ধ্বসের মুখে পড়তে পারে
#৫
ন্যাকা কণ্ঠে এখন আর কোন বৌ এসে স্বামীর সামনে শাশুড়ি ও ননদের নামে গুটি করবে না। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা বলার কোনো টপিক থাকবেনা। এভাবে সম্পর্কে ফাটল ধরে একটি বড় ধরণের সামাজিক অবক্ষয়ের দুর্যোগ নেমে আসবে
#৬
#৭
দেশ থেকে আর কিছুদিনের মধ্যেই কূটনামি রপ্তানি শুরু করে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হওয়ার কথা ছিল। অথচ এখন এই শিল্প অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা হারাবো প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।
#৮
ডিশ সংযোগ ব্যবসায় ঘাটতি হলে রাস্তাঘাটে ঐতিহ্যবাহী জটবাধা ডিশের তার আর দেখা যাবেনা। তখন কাক আর পাখিরা কোথাও বসার সুযোগ পাবে না। আর যেহেতু কাক-পাখিরা এই শহর ছেড়ে চলে যাবে, ফলে দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য আর থাকবে না
#৯
এর ফলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রতি ঘরে নেমে আসবে আধার কালো মুহূর্তেরা। ফলে মানসিক সমস্যায় অনেকেই আর সাধারণ দিন যাপন করতে পারবে না। দেশে বাড়বে মানসিক হাসপাতালের সংখ্যা।
#১০
পরিবারের কে কি করছে তার খুটিনাটি নিয়ে দোষ ধরা আংকেল আন্টি সমাজ বেকারত্বের মুখে পড়বে, ফলে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে এবং হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারের চাহিদা মেটাতে চোরা ডাক্তারদের সংখ্যা বাড়বে।