গত ৭ এপ্রিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ উদযাপন করেন। আগ্রার সিকান্দ্রায় অবস্থানরত একজন লোক জানান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখ উদযাপনের দিন সম্রাট আকবরের সমাধিসৌধ দুই বার কেপে উঠে এবং মেয়েলী আওয়াজে কান্না শোনা যায়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষের, ২.৫৭ সিজিপিএ প্রাপ্ত ছাত্র রায়ীদ রহমান বলেন, “সারাদিন পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করে খুব ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে, হাত-মুখ ধুয়ে ঘুমাইতে চলে গেছিলাম। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখি, সম্রাট আকবর ফারসি ভাষায়, তলোয়ার হাতে নিয়ে খুব চিল্লাচিল্লি করছেন।“
তিনি চোখ মুছতে মুছতে আরো বলেন, “ভাই, এখন আর ঘুমাইতে পারি না। সেইদিন স্বপ্নে দেখি ক্রাসরে নিয়া মিরপুরে নৌকায় ঘুরতেছি। হঠাৎ পানির নিচ থেইকা সম্রাট আকবর বাইর হইয়া আমার ক্রাসরে কষায়া একটা থাপ্পড় মাইরা আবার পানিতে ডুব দিলো। তারপর শুরু করছে আবার চিল্লাচিল্লি। কি কয় কিছু বুঝিওনা।“
রায়ীদের কথা প্রথমে তার বাবা-মা বিশ্বাস না করলেও, পরে রায়ীদের ক্লাসের ৪.০০ সিজিপিএ ফাতেমা আহসান একই অভিজ্ঞতার কথা বললে, তারা রায়ীদকে বিশ্বাস করেন এবং ডাক্তার দেখাতে রাজি হন।
অনেকেই আবার সম্রাট আকবরকে চোখের সামনে দেখেছেন বলে দাবি করেন। কালচারাল ক্লাবের এক্সিকীউটিভ মেম্বার খালিদ বিন হুছাইন বলেন, গতকাল রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি সম্রাট আকবরকে তার পড়ার টেবিলের উপর বসে থাকতে দেখেন। খালেদ বলেন, “ Emperor আকবর খুব scream করছিলেন। I was like, “Bro আপনার Language কিছু বুঝি না।“ তারপর সম্রাট আকবর গলা ঝারি দিয়ে চলিত বাংলা ভাষায় বলেন, “হেইত মিয়াঁ, আউল ফাউল। তোমাদের এত বড় সাহস হইছে কই থাইক্যা, যে আমার দেওয়া রীতির বিরুদ্ধে গিয়া পহেলা বৈশাখ ৭ই এপ্রিল পালন করতাছো। ঠিক মত বাংলা টাও তো বের হয় না মুখ দিয়ে। এই ফাইযলামির জন্য তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম আমি, সম্রাট আকবর। আমাকে কেউ থামাতে পারবেনা, থামতে পারবে, থামাতে পারবেনা আহ্!“
খালেদ আরও বলেন, “Bro, পরদিন varsity থেকে এসে দেখি আমার রাখা কাচ্চি, আকবর uncle খেয়ে ফেলছে। The hell, bro?!”
মাইশা আহমেদ বলেন যে উনি ফাইনালসের জন্য ঠিক মতো প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আরে, পড়তেইতো বসতে পারি না। সম্রাট আকবর আমার সব বই-খাতা লুকায় রাখেন। কারণ আমরা ফাইনালসকে, পহেলা বৈশাখ থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। সম্রাট আকবরের এরকম হঠাৎ হঠাৎ আবির্ভাবের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা বড়ই বিপত্তির মুখে পড়েছি।”
এদিকে ব্র্যাকের এক জুনিয়র লুকিয়ে লুকিয়ে সিঁড়ির চিপায় বিড়ি খেতে গেলে হঠাৎ আকবর সাহেব এসে আগুন চাইলে ওই ছেলে ওখানেই মূর্ছা যায়। এরপর থেকে এই ছেলে কাউকে চিনতে পারছে না। ছেলেটি এখন সবাইকেই এমনকি উনার প্রেমিকাকেও আকবর চাচা বলে ডাকা শুরু করেছে।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।