ওয়েস্টেরস থেকে বিনা রক্তপাতে রাইতের রাজা ও তার দলবলকে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গলের নির্বাচনী প্রচারণায় জনগণকে আকৃষ্ট করার বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন বাংলাদেশী অভিনেতা ফেরদৌসের সাথে আজ সকালে এক বিশেষ ব্যবস্থায় যোগাযোগ করেছেন ওয়েস্টেরসের সকল নেতা-ফেতারা। যার ফলে রাইতের রাজার ভয়ে থাকা ওয়েস্টেরসের মানুষজনের জীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি। এ ব্যাপারে আমাদের তিন চক্ষুওয়ালা কাউয়াকে ওয়েস্টেরসে পাঠানো হলে তাকে জন স্নো জানান- “ভাই আমরা আসলে অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখলাম যে রাইতের রাজার লগে যুদ্ধ কইরা পারুমনা, তাই মনে হইলো ফেরদৌস ভাইকে একটু রিকুয়েস্ট কইরা দেখি। আর তাছাড়া উনি যেহেতু ওয়েস্ট বেঙ্গলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় তাই ভাবলাম ওয়েস্টেরসের মানুষের হয়ে রাইতের রাজাকে বললে বিষয়ডা খারাপ হয় না। আমাদের এই নিরীহ মানুষগুলার কথা উনি রাখছে। উনাকে বলার সাথে সাথেই উনি নিজে এসে আমাদের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং নিজের আগ্রহ প্রকাশ করেন।”
এ ব্যাপারে পাশে থাকা আনন্দের রাজা ফিলিংসের রাজা টিরিয়ন ভাই আরও জানান- “ভাই, আমি সেই লোক! এই যে ভাই আমি সেই লোক! আমার কথাতেই ফেরদৌস ভাই এসেছেন।” কিন্তু কিভাবে রাজি করালেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান- “উনাকে আসলে গোপন একটা জিনিসের লোভ দেখাইছিলাম, আই এম সোরি, আমি এখন তা বলতে পারছিনা। হে হে!”
অন্যদিকে রাইতের রাজার কাছে আমাদের তিন চক্ষু বিশিষ্ট কাউয়া এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান- “উনার সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথেই মাথাডা ঘুরান্টি মাইরা উঠলো ভাই! কি যেন হইলো বুঝলাম। আমিও ওয়েস্টেরসের পোলাপানগুলার কাগজে সাইন কইরা চইলা আইলাম! আর এতকিছু কইরা কি হইবো ভাই বলেন? একদিন তো মরেই যাবো!” এই বলেই তিনি হুহু করে কান্না শুরু করেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই রাইতের রাজার এক সাদা হাঁটুইন্না সাঙ্গ পাশ থেকে জানান যে ফেরদৌস নাকি বাংলাদেশী জামাত পার্টির লোক। এই কথা শুনে রাইতের রাজার কান্না ভুলে যান এবং ক্ষেপে গিয়ে ততক্ষনাৎ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে – “আমি আমার আগের বক্তব্য উইথড্রো করলাম! ওই শালায় আমারে তাবিজ করছিলো নিশ্চিত! ওই শালারে মাফ করা যাইবো না! আমরা আবার দখলে যামু” এই কথা শেষ করেই তিনি তার সাদা হাঁটুইন্না দলবলকে আবারো যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এই পর্যায়ে আমাদের তিন চক্ষু বিশিষ্ট কাউয়া কাম রিপোর্টার ভয়ে সেখান থেকে চান্সে কেটে পড়েন।
আপাতত এইটুকুই! পরবর্তী খবর আসার পর আপনাদের জানানো হবে! ধন্যবাদ!
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।