ওয়াসার শতভাগ সুপেয় পানি আবারো নতুন করে সুপেয় করার জন্য ফুটানোর চেষ্টাকালে গ্রেফতার হয়েছেন মিরা ভাই নামক জনৈক মিরপুরবাসী। ওয়াসার এমডি এ ব্যাপারে ব্যাপক খেপে গিয়ে আমাদের প্রতিবেদককে নিজে থেকেই ফোন দিয়েই বলেন “আমি কাল নিজে বললাম ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয় তারপরও ঐ লোক পানি ফুটানোর সাহস করলো কিভাবে! হ্যাঁ, এইটা ঠিক আমি নিজে ওয়াসার পানি খাইনা, বোতলের পানি খাই কিন্তু আমি একটা কথা বলেছি সেটা কেনো ঐ লোক বিশ্বাস করবে না, এই জন্য ঐ লোকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি”।
এদিকে এ সংবাদে ফিল্টারের নামে সরাসরি লাইন থেকে ডিব্বায় পানি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন নাফিকানা (নামে ফিল্টার কামে নাই)’র সভাপতি বলেন, “এতো রীতিমত আমাদের পেটে-পিঠে-বুকে সবখানে লাথি মারা। দুনিয়া থেকে বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে এটা তারই প্রমাণ, আমরা যে সরাসরি লাইন থেকে পানি নিয়ে ডিব্বায় ভরে বিক্রি করতাম, মানুষ বিশ্বাস করে খেয়ে ফেলতো। এখন এমন দু একটি দুষ্কৃতিকারীদের জন্য মানুষ তো আমাদের আর বিশ্বাস করবে না। আমরা ঐ মিরা ভাইয়ের হেইলা দুইলা দরবার নাচায়ে একদম ক্লান্ত করে মেরে ফেলার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা এই ঈদের পরই আমাদের দাবি নিয়ে তীব্র আন্দোলনে যাবো।”
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার একটি টিম অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও ওয়াসার পানিতে জীবাণু না পাওয়াতে ব্যাপক হতাশ হয়ে দেশে ফিরে গিয়েছে। দেশে ফিরে গিয়ে তাদের টিম লিডার ওয়াটার মেলন আমাদের ফোনে বলেন “এ অত্যাশ্চর্য, আমরা ওয়াসাকে নেক্সট নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি মানা না হলে ঈদের পর আমরাও ম্যাডিসন স্কয়ারে আন্দোলনে নামবো।”
এ ব্যাপারে গ্রেফতার হওয়া মিরা ভাইয়ের সাথে জেল হাজতে দেখা করতে গেলে তার সাথে দেখা করতে পারেনি আমাদের প্রতিবেদক। তবে তিনি যে পানির বোতল কিনে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেটা তার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য পাঠালে মিরা ভাই সেই ফাঁকা বোতলে একটি চিরকুট পাঠান। যেখানে লেখা ছিল – “ভাই! আমি আসলে গোসলের জন্য পানি গরম করতে নিচ্ছিলাম, আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে! এর বিরুদ্ধে আমিও ঈদের পর তীব্র আন্দোলনে নামবো!”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।