টেন মিনিটস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক গত বছর কুইন’স ইয়াং লিডারস পুরস্কার জেতার পাশাপাশি নানান সময় অন্যান্য অনেক পুরস্কারই জিতেছেন। তবে এবার তিনি মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ের আশা রাখছেন।
সম্প্রতি আমরা একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের দ্বারা পরিচিত হয়েছি টেন মিনিটস এর সাথে যুক্ত বিশিষ্ট সেক্সুয়াল অফেন্ডার শাওন চৌধুরীর সাথে। উনার প্রেমের প্রস্তাব কোন মেয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে এমনটা তিনি কখনো মেনে নিতে পারেন না। উল্টো সেই মেয়েকে হয়রানির স্বীকার করে আবার তার নামেই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে চলেন। তবে এত কিছু জানার পরেও উদারতার প্রতীক আয়মান সাদিক তাকে নিজের টেন মিনিটস এর স্টুডিওতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। কারণ শাওনের ঘর বাড়ি, থাকার জায়গা কিছুই নেই। আয়মান সাদিক তাকে নিজের ছোট ভাই বানিয়েছিলেন আর এমন দুর্দিনে ভাইয়ের পাশে না দাঁড়িয়ে তিনি থাকতে পারেননি। তিনি এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান বলে জানা গেছে। তার এক মুখ পাত্র থেকে জানা যায়, ‘আয়মান ভাইয়ের মনটা সব সময়ই একটু বেশি নরম। আপনি চোর ডাকাত বা সেক্সুয়াল অফেন্ডার যাই হন, আশ্রয় এর দরকার হলে আয়মান ভাইয়ের দরজা আপনার জন্য খোলা থাকবে। তিনি সবাইকে নিজের ছোট ভাইয়ের মর্যাদা দিয়ে স্টুডিওতে রাখবেন। উনি বর্তমান যুগের ব্রাদার তেরেসা, আমাদের সবার উপকারী ভাই! যদিও তিনি বলেন কোন পুরস্কারের আশা তিনি করেন না কিন্তু এইবার নোবেল পুরস্কারজয়ী হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চান তিনি।
ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করে আয়মান এই একুশের বইমেলাতে নিজের ‘ভাল্লাগে না’ বইটিও শাওনকে উৎসর্গ করেছেন। এই নিয়ে শাওনের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায়, ‘আয়মান ভাই আমার নামে অনেক অনেক অভিযোগ শুনে আমাকে টেন মিনিটস থেকে বহিস্কার করলেও তার মন থেকে সরিয়ে দেন নাই, উল্টা আমাকে তার বই উৎসর্গ করে নিজের স্টুডিওতে থাকতেও দিয়েছেন। এমন বড় মনের মানুষ হিসেবে অবশ্যই তার নোবেল পাওয়া উচিত। তিনি মানবতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ দাঁড় করেছেন গোটা বিশ্বের সামনে। তিনি প্রকৃত ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।‘
তবে অনেক চেষ্টা করেও মানবতার ফেরিওয়ালা আয়মান সাদিকের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। কিন্তু জানা গিয়েছে সম্ভবত তিনি ১০ মিনিটে কিভাবে ১০ টি উপায়ে মানুষের দুর্দিনে তাদের আশ্রয় দেয়া যায় আর বিপদ থেকে রক্ষা করা যায় তার উপর ভিডিও বানাতে ব্যস্ত আছেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।