গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে খালি গায়ে ক্লাসে চলে আসায় শাস্তি হিসেবে পরবর্তী দশদিন সোয়েটার পরে আসার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে এক এআইইউবি ছাত্রকে। ঐ ছাত্রের সাথে কথা বলতে গেলে দেখা যায় তিনি এআইইউবির গেটে খালি গায়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। তখন তার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন- “ভাই এখানে গত এক সপ্তাহ ধরে তেব্র গরম পড়েছে, এত গরম যে গরমের সোদনে জামা পরে থাকাই দায় হয়ে গেছে, তাই বাধ্য হয়ে আমি গরম সহ্য করতে না পেরে আজ ক্লাসে জামা না পরেই গিয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে ক্লাস থেকে তো বের করে দিলোই উল্টা দশদিন সোয়েটার পরে আসার পেনাল্টি দিয়ে দিলো, বলেন ভাই এইডা কোন কথা? এই গরমে এখন সোয়েটার পরে যদি আমার কিছু হয়ে যায় তবে আমার জাস্টফ্রেন্ড ময়নাকে কে দেখবে। ওর কি হবে? ওর এসাইনমেন্ট, ফটোকপি এগুলা কে করে দিবে বলেন? আমি কার কাছে ন্যায় বিচার চাইবো?” এই বলেই উনি অনবরত মাথা চুলকাতে থাকলে আমাদের প্রতিনিধি উনাকে বাকি প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকেন এবং এক ফাঁকে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান।
এদিকে এমন শাস্তি দেওয়ার প্রতিবাদে “এসো গরমে ভুলি শরম” কমিটির সভাপতি লজ্জা মিয়া বলেছেন- “এইডা একদম বাজে কাজ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ওয়াক থু! যদি অবিলম্বে আমাদের সহমত ভাইয়ের পেনাল্টিকে ফ্রি কিকে ট্রান্সফার না করা হয় তবে আমরা সারা বাংলাদেশ জুড়ে একসাথে খালি গায়ে ঈদের পরে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না বলে দিলাম”
তবে মানবাধিকার কমিশনের এক সদস্য বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন- “স্বাধীন দেশে যে কেউ খালি গায়ে ক্লাস করতেই পারে, তাই বলে এইভাবে কারো অধিকার হরণ করে নেয়াটা অন্যায়। আমরা এই ব্যাপারে অতি শীঘ্রই একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করবো” উনি তার বক্তৃতা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের চা-পানি খাইয়ে কেটে পড়লে আমাদের প্রতিনিধি এই ব্যাপারে এআইইউবি কর্তৃপক্ষের সংগে যোগাযোগ করলে তাদের কাউকেই পাননি।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।