বিজয় সরণির সিগন্যাল এক চান্সে পার হয়ে যাওয়ায় খুশিতে ঠ্যালায় আত্মহারা হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন ফার্মগেটের ফার্মের মুরগির ব্যবসায়ী মনু মিয়া। জানা যায় মনু মিয়া বনানীতে এক্স গার্লফ্রেন্ডের বাসায় মুরগির হোম ডেলিভারি ফার্মগেটে নিজের দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় জগৎবিখ্যাত বিজয় সরণির সিগন্যাল পার হওয়ার সময় কোন জ্যামে আটকা না পড়ে এক চান্সে পার হয়ে যাওয়ায় খুশির ঠ্যালায় মনু মিয়া অজ্ঞান হয়ে যান। পড়ে জ্ঞান আসলে মনু মিয়া আনান্তা জালিলের নায়িকা বর্ষার মত বলেন “ওয়াও এতো অসম্ভব, আমার জীবন ধন্য হয়ে গেলো ভাই, জীবনে এইডা একটা স্বপ্ন আছিলো, একবার হলেও বিজয় স্মরণীর সিগন্যাল এক চান্সে পার হমু। আজ সে স্বপ্ন পূরণ হওয়াতে মনে হলো আমার জীবন ধন্য”
এদিকে শুধু মনু মিয়া নয় সে সময় বিজয় সরণির সিগন্যাল পার হওয়া মানুষের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা। অনেক আনন্দ মিছিল করছে, কোলাকুলি করছে। অক্কা মিয়া নামে একজন লাইভে এসে বলেন- ”দশ টাকার চপ সিঙ্গারার মতো আমাদের এ অর্জনও গিনেস বুকে নাম উঠানোর জোর দাবিদার, আমরা গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে আমাদের এই অর্জনকে গিনেস বুকে যেন তোলা হয়”
এদিকে সিগন্যাল বিহীন বিজয় সরণি আরেকটি বার দেখার জন্য ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ বিজয় সরণির কাছে জমায়েত হয়েছে। শুধু দেশ নয় বিদেশ থেকেও অনেকে এ অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিখ্যাত ট্রাভেল ব্লগার Drew Binksy উনার এক ভিডিওতে বলেছেন “আফসোস বাংলাদেশ গেলাম কিন্তু বিজয় সরণির সিগন্যাল এক চান্সে পার হয়ে দেখতে পারি নাই, কি করলাম জীবনে। আমি আবার বাংলাদেশ যাইতে চাই।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।