কুমিল্লার নববিবাহিত যুবক সোহেলকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ইফতারির দাওয়াত দিলে তিনি সস্ত্রীক সেখানে উপস্থিত হন। ইফতারের আগে বিভিন্ন রকম আইটেম দেখে সোহেল তার নব শ্বশুর ও শাশুড়ির অনেক সুনামও (আক্ষরিক অর্থে তেলবাজি) করেন। কিন্তু ইফতারের বাকি সব আইটেম ঠিক থাকলেও বেগুনি খেতে গিয়ে সোহেল হঠাৎ করেই টের পান যে এই বেগুনিতে কোনো বেগুন নেই। এইধরণের ফাঁকিবাজি ও জালিয়াতি টের পেয়ে তার মেজাজ অত্যন্ত গরম হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে তার মুখ ফসকে তিনি তার শ্বশুরকে “ওই শালারপুত!” বলে গালি দিয়ে ফেলেন। এর প্রতিবাদে সোহেলের শালা তাকে উড়ে এসে লাথি মারলে খাবারের টেবিল থেকে সোহেল গিয়ে তার শাশুড়ির গায়ে ছিটকে পড়েন। এরপর কিছুক্ষন চোখ রাঙিয়ে শালাকে হুমকি দিলেও শালা যখন কিচেন থেকে ছুরি আনার ভয় দেখান এবং ছুরি আনতে যান, ঠিক তখনই সোহেল তার বৌকে রেখে পালিয়ে যান। এরপর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে তার বৌকে ডাকেন, তখন তার বউ, শ্বশুর ও শাশুড়ি বারান্দায় এলে তিনি রাস্তায় দাঁড়ানো অবস্থাতেই চিৎকার করে আকাশ-বাতাসকে সাক্ষী রেখে বউকে তিন তালাক দিয়ে চলে যান। তখন তার শালা ছুরির বদলে বাশ নিয়ে এসে তাকে তাড়া করলে সে দৌড়ে পালায়।
এরপর বাংলা সিনেমার আলীরাজের মতো রাস্তার পাশের গ্রিল ধরে ধরে এগোতে থাকেন আর কান্না করতে থাকেন। এই সময় আমাদের প্রতিনিধি “এইযে ভাই, কান্দেন ক্যান” জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- “ভাই, আমার দিলডা পুরা ভাইঙ্গা দিছে ভাই, আমারে জোর কইরা দাওয়াত দিয়া নিয়া গিয়া বেগুনির বদলে হুদা বেসন খাওয়ায়া ছাইড়া দিতে চাইছিলো, কিন্তু আমি তো গাধা না! আমি তো ঠিকই ধরে ফেলছি! যে পরিবার এমন জালিয়াতি করতে পারে সেই পরিবারের মেয়েকে আমার দরকার নাই. তাই বুদ্ধি করে নগদে তালাক দিয়া আসলাম। আরে ভাই, শালার বাপে রে শালার পুত কইছি, তাই বইলা শালায় আমারে উইড়া আইসা লাথি মারবো?”
তবে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের প্রতিনিধি সোহেলের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দরজায় নক করলে ভিক্ষুক ভেবে তাকে পলিথিনে ভরে এক পোটলা ইফতারি দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।