বরিশাল জিলা স্কুলের মোড়ে থ্রিডি জেব্রা ক্রসিং উদ্বোধন করার পর থেকে প্রশংসার জোয়ারে বরিশালের লঞ্চের মতোই ভাসছে তাদের সিটি করপোরেশন।প্রধানত গাড়ি চালকদের গতি নিয়ন্ত্রনের জন্য এই কার্যক্রম গ্রহন করা হলেও ব্যক্তিগত ভাবে এর ব্যবহারকে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছেন বরিশালের সাধারণ পথচারীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অনেকে রীতিমতো থ্রিডি গ্লাস পরে রাস্তা পার হচ্ছেন।এমনকি শুধু দিনে নয়, রাতের বেলাও অনেকে থ্রিডি গ্লাস পরে জেব্রা ক্রসিং এর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।
রাস্তার ফুটপাথের ভাসমান দোকান গুলোতে রং-বেরংয়ের চশমার চাহিদাও এজন্য বেড়ে গেছে। “চোখের বালি” নামক চশমার দোকানের মালিকের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এ মেয়া, এইহানের মানু থিরিডি গেলাস কি হেইয়াই তো জানে না, আর জানবে কেমনে? মুইই বুঝিনা, মুই এত বছর ব্যবসা হরি। তয় কেউ আইয়া চাইলেই, মুই আচুক্কা কালো এউক্কা সানগ্লাস হাতে দিয়া দেই, আর হরি কি ঐ দাম একটু বেশি রাহি। কাস্টমারও বেশি দামেই লইয়া যায়, হে হে!”
তবে গতকাল সকালে ঐ ক্রসিংএর উপর দিয়ে ৩ মিনিটের মধ্যে ৫ বার গ্লাস পরে রাস্তার এপার ওপারে আশা যাওয়া করা এক পথচারীকে এরকম অদ্ভুত কান্ডের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এ মেয়া এ, এইভাবে যদি মুই না চলি মুই কি অভ্যস্ত হইতে পারমু? সবকিছুরই অভ্যাস লাগে বোজ্জেন। এতদিন তো রিক্সা, সাইকেলের উপর দিয়ে লাফ মাইরা রাস্তা পার হইতাম, এহন গোনে এইয়াই ইউজ করমু”।
কিন্তু সবাই যে থ্রিডি গ্লাস ব্যবহার করছেন এমন নয়। মাসুদ এরকমই ব্যতিক্রম একজন পথচারী। কেন তিনি সবার থেকে আলাদা পথে হাটছেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আরে রাখেন মিঞা, এইসব ভুগিচুগি সব পয়সা মারার ধান্দা। হলুদ রঙ মিশায়া চুনকাম কইরা নাম দিসে থ্রিডি জেব্রা ক্রসিং। সাদা-হলুদ জেব্রা সারা বিশ্বে কেন, সমগ্র বরিশালের কোথাও পাওয়া যাইবে না। তাইলে জিনিসটার এরকম নাম ক্যান দিবেন আপনারা?”
বিস্তারিত জানতে আমাদের প্রতিনিধি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করলে সেখানে কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে লঞ্চে ঘুমাতে যান এবং সকালে উঠে দেখেন তিনি ঢাকায়।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।