সম্প্রতি ৫০০ টাকা দিয়ে নায়লা নাঈমের ফেসবুক বন্ধু হওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর এবার মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে নিজের প্রোফাইল পিকচারে লায়লা লাইমের লাভ রিয়েক্ট পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ইন্টারনেটবাসীরা। গতকাল বিখ্যাত ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাট সেলিব্রিটি লায়লা লাইম তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোষ্ট দিয়ে সবাইকে জানান তার নাম্বারে ১০০ টাকা সেন্ড মানি করলেই তিনি ডোনেশনকারীর প্রোফাইল পিকচারে লাভ রিয়েক্ট করবেন। পোষ্টে তিনি আরো বলেন যে তিনি আসলে টাকার লোভে লাভ রিয়েক্ট দিচ্ছেন না। ডোনেশনে উঠা পুরো টাকাটাই তিনি তার পোষা বিড়াল “পুশি”-এর জন্য খরচ করবেন বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লায়লা লাইম সাংবাদিকদের বলেন, “I heard that নাঈম আপু নাকি একটা ঘোড়ার জন্য চ্যারিটি করেছে। তাই আমিও ভাবলাম আমার পুশিটার জন্য কিছু করি। আসলে I’m just 20 years old and with what I earn প্রতিমাসে মেকাপ কিনে, ট্যুর দিয়ে, ২-৩টা অ্যাসিস্ট্যান্টের বেতন দিয়ে শেষে পুশির জন্য বেশি কিছু করতে পারি না। আর আমি শুধু ১০ জনকে না, আমার সব ফলোয়ারদের এই সু্যোগ দিচ্ছি।”
এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। লায়লা লাইমের কিছু ভক্ত এই সু্যোগ পেয়ে ব্যাপক খুশি হয়েছেন। তাশিন রহমান নামে লায়লা লাইমের একজন ভক্ত বলেন, “আমি সারাটা জীবন এই সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিলাম। লায়লা লাইম আমার বিশাল ক্রাশ। আজকে ১০০ টাকা দিয়ে ওর কাছ থেকে লাভ রিয়েক্ট নিয়া নিসি। এখন আমার জীবন ধন্য, এই প্রোফাইল পিকচার আর কোনদিন চেঞ্জ করবো না।”
কিন্তু লায়লা লাইমের এই চ্যারিটি ভূয়া দাবী করছেন কেউ কেউ। তার পোস্টের কয়েক ঘন্টা পর আরেক ইন্টারনেট সেলিব্রিটি সিরাজুমমুনিরা হাশেন একটি পোস্টে লিখেন, “ওই লায়লা লাইম একটা ধান্দাবাজ! আমার থেকে মাত্র ৭০০০ ফলোয়ার বেশি তাই কি ভাব নিয়ে থাকে। আর ওর বিড়াল তো গতবছর মরে গেসে।” তবে এর উত্তর হিসেবে তার বিড়ালের সাথে একটি সেল্ফি আপ্লোড করেন লায়লা লাইম। সেখানে সিরাজুমমুনিরা হাশেন কমেন্ট করেন “এটাতো তোমার মিরপুরের বাসার ছবি! তুমি না দুই বছর আগে মিরপুর থেকে শিফট করসো?”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লায়লা লাইম বলেছেন, “নিন্দুকেরা বাজে কথা বলবেই, but their words can’t stop me! আজকে লাভ রিয়েক্ট করেছি, next time আমি আমার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মেনশনের সুযোগ দিয়ে এই চ্যারিটির কাজ চালিয়ে যাবো।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।