মন ভর্তি জিলাপির প্যাঁচ থাকা সত্বেও জিলাপি বানানোর সময় প্যাঁচ দিতে না পেরে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন নুসরাত নামের এক আপ্পি। জানা যায়, তার মনে এত প্যাঁচ যে বন্ধুদের মধ্যে গ্যাঞ্জাম বাধিয়ে দেওয়ার জন্য নোবেল পুরষ্কার দেওয়া শুরু হলে প্রথমেই তিনি পেয়ে যাবেন বলে মনে করেন অনেকেই। এমনকি নোবেল কমিটি তাকে কয়েকবার আগাম পুরস্কার পাঠাতেও নাকি চেয়েছিলেন। সে যা-ই হোক, এ ব্যাপারে নুসরাত আপুর সাথে কথা বলতে গেলে, তিনি কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন- “সবার কাছে আমার মন ভর্তি জিলাপির প্যাঁচের জন্য আমি বিখ্যাত, আর সেই আমি কিনা আসল জিলাপি বানাতে গিয়েই প্যাঁচ দিতে পারছি না! এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কি হতে পারে। লাইভে গিয়ে জিলাপি বানাচ্ছিলাম, আমার মানইজ্জত সব একবারে জিলাপির সিরায় মিশে গেলো, এখন আমার কি হবে?” বলেই নুসরাত আপুর চোখ থেকে জিলাপির সিরার মত কান্না ঝড়তে থাকলে আমাদের প্রতিনিধিও আবেগী হয়ে কান্না শুরু করে দিলে আমরা উনার বাকি কথাগুলো আর জানতে পাইনি। এদিকে নুসরাত আপুর জীবনে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার জন্য “মনে আমাদের জিলাপির প্যাঁচ” নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানানো হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি প্যাঁচোদ্দিন নিজাম আমাদের বলেন- “এমন একটু আধটু ভুল সবার জীবনেই হয়, এগুলা সিম্পল ব্যাপার, নুসরাত আপুকে বলবো আপনি মোটেও হতাশ হবেন না। শক্ত মনোবল নিয়ে এগিয়ে যান, আমরা আশা করি আপনার মনের জিলাপির প্যাঁচের মত একদিন আপনিও আসল জিলাপিতে প্যাঁচ দিতে পারবেন।”
তবে নুসরাত আপুর এমন খারাপ সময়ে তার পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ব্রেকিং ব্যাডের ওয়াল্টার ভাইয়ের বউ দ্যা প্যাঁচ কুইন স্কাইলার ভাবি। তিনিও এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, প্যাঁচ দেওয়া একটা শিল্প, সেটা মনের জিলাপি হোক বা আসল জিলাপি, তিনি সবসময় নুসরাত আপুর পাশে আছেন বলেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।