সম্প্রতি জনপ্রিয় হওয়া কাকলী ফার্নিচার নিজের দারুণ মার্কেটিং দক্ষতায় ইতিমধ্যেই লাখো মানুষের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে, তেমনই এক ভুক্তভোগী উত্তরার নববিবাহিত এক যুগল। জানা যায়, তাদের বর্তমান লাখ টাকা দামি খাট নাকি রাত হলেই অদ্ভুত আচরণ (চিৎকার- চেঁচামেচি) শুরু করে দেয়, যার ফলে তারা কয়েকদিন যাবৎ খুবই প্যারায় আছেন। এদিকে দামে কম, মানে ভাল কাকলী ফার্নিচারের বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখার পর থেকেই বর্তমান খাটের অদ্ভুত আচরণ তাদের আর একদমই ভালো লাগছে না। সরাসরি আমাদের না বলে আমাদের গোপন সূত্রকে তারা তাদের প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানান- “ঘুম তো আসছেই না উল্টো রাতের বেলা খাতের অদ্ভুত আচরণ কমাতে গিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যাচ্ছে।” তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ভাইটির সাথে কথা বলার জন্য ফোন দিলে তিনি হ্যালো বলার বদলে “দামে কম মানে ভাল, কাকলী ফার্নিচার” বলার সাথে সাথেই আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ট্রমাটাইজড হয়ে কোমায় চলে যান। পরে ভাড়া করে আনা ভাড়াটে প্রতিবেদক উচ্চ শক্তিশালী ভাইরাল কন্টেন্ট প্রতিরোধক মাস্ক পরে ভাইটির সাথে কথা শুরু করলে তিনি বলেন- “ভাই আমার লাগবে না এই লাখ টাকার খাট, এটার কোন মানই নাই। আমি দামে কম, কিন্তু মানে ভাল জিনিস চাই, আমার কাকলী ফার্নিচারের খাট লাগবেই লাগবে, নাহলে আমার নিজের দামই আমার বউয়ের কাছে কমে যাচ্ছে।”
এদিকে কাকলী ফার্নিচারের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। ডিভোর্সের পর থেকে ভালো ঘুম আসছে না দেখে কাকলী ফার্নিচারের দামে কম, মানে ভাল খাটের হোম ডেলিভারি অর্ডার কিভাবে করা যায় সেটি জানতে চেয়ে টুইট করেছেন স্বয়ং বিল গেটস এবং জেফ বেজোস।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।