মনে করে দেখুন তো, আমাদের লাইফে একজন না একজন এরকম বন্ধু অবশ্যই এসেছে যাদেরকে আমরা সারাজীবনই বন্ধু হিসেবে পাশে রাখতে চেয়েছি, কিন্তু কোনো না কোনো কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। অন্যান্য দিনগুলোতে তাদের কথা মনে পড়ুক না পড়ুক, এই বন্ধু দিবসে চলুন তাদেরকে স্মরণ করা যাক ।
১. টিফিন শেয়ার করা বন্ধু – স্কুল-কলেজে থাকতে যে বন্ধু আমাদের সাথে প্রতিদিন টিফিন শেয়ার করতো তার সাথে কি আপনার সম্পর্ক আছে এখনো? থাকলে ভালো, না থাকলে বলুন তো শেষ কবে তার কথা মনে করেছেন?
via GIPHY
২. বাসা থেকে ডেকে খেলতে নিয়ে যাওয়া বন্ধু – খেলার মাঠে যাওয়ার আগে আপনার বাসায় এসে, প্রয়োজনে আপনার বাবা মা কে বুঝিয়ে আপনার যে বন্ধুটি আপনাকে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলতে নিয়ে যেত, তার সাথে যোগাযোগ আছে এখন?
via GIPHY
৩. একসাথে স্কুল কলেজে যাতায়াত করা বন্ধু – একসাথে স্কুল কলেজে যাদের সাথে যাতায়াত করা হতো, কৈশোরের সোনালী সময়ের সাক্ষী সেই বন্ধুদেরকে যদি সবসময় পাশে পাওয়া যেত কত ভালোই না হতো, তাই না?
via GIPHY
৪. পরীক্ষার হলে খাতা দেখানো বন্ধু – পরীক্ষার হলে চরম বিপদের সময়ে নিজে রিস্ক নিয়ে আপনাকে খাতা দেখিয়ে বা দুই-এক নম্বরের উত্তর বলে দিয়ে হেল্প করে যে বন্ধুরা প্রতিবার অসামান্য উপকার করতো, তাদের মত হেল্পফুল বন্ধুগুলো।
via GIPHY
৫. স্কুল কলেজে বুলিং থেকে বাঁচানো বন্ধু – স্কুল কলেজে ব্যুলিং এর শিকার হয় অনেকেই। এরকম ব্যুলিং থেকে বাঁচানোর জন্য হয়ত এগিয়ে এসেছিল আমাদেরই কোন সাহসী বন্ধু। সেই বন্ধু আমাদেরকে রক্ষা করেছে আরো কত কিছু থেকে! এরকম বন্ধুকেও আমরা সারাজীবন পাশে রাখতে চেয়েছি
via GIPHY
৬. রাইড শেয়ার করা বন্ধু – রাইড শেয়ারিং কালচারেরও অনেক আগে আপনার আমার এমন কোনো না কোনো বন্ধু ছিল, যে তাদের গাড়িতে বা তার বাইকে আমাদের লিফট দিতে কখনো কুণ্ঠা বোধ করতো না। কখনো কখনো বাইক কিংবা সাইকেলের চাবিটাই দিয়ে দিতো। বলুন তো, পাওয়া যায় এরকম মানুষ এখন?
via GIPHY
৭. বন্ধুত্বের মাঝে লাইফ পার্টনার খুঁজে পাওয়া বন্ধুটি – বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক প্রেম পর্যন্ত গড়িয়ে যাওয়া নতুন কিছু না। এরকম আমাদের অনেকের সাথেও হয়তো হয়েছে। কিন্তু দিনশেষে না সে পাশে আছে বন্ধু হিসেবে , না আছে লাইফ পার্টনার হিসেবে। বলা বাহুল্য, তাদেরকেও আমরা ভীষণ মিস করি।