যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের স্টেপলস সেন্টারে ৬১তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী কাম অভিনেতা তাহসানের সঙ্গে দেখা হয় অস্কার জয়ী মিউজিক ডিরেক্টর এ আর রহমানের। তবে তাদের দেখা হওয়ার পরই কি নিয়ে কথা হয় তা সাংবাদিকদের না জানালেও অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে দর্শকসারি থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এ আর রহমান বলেন, ‘আমি খুবই এক্সাইটেড! আপনাদেরকে খুব দ্রুত একটি সুসংবাদ দিবো’। এ পর্যায়ে তার ফোনের ডাটা শেষ হয়ে গেলে লাইভ বন্ধ হয়ে যায়।
তবে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর হোটেলে ফিরে আজ সোমবার সকালে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের এ আর রহমান বলেন, ‘একই ছাদের নিচে বিশ্বসংগীতের বড় বড় সব ব্যক্তিত্ব! এর মধ্যে তাহসান ভাইকে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত, কারণ উনার গানেই উৎসাহিত হয়ে আমার গানে হাতেখড়ি, উনাকে আর হাতছাড়া করতে ইচ্ছে করছেনা ভাই, তাই আজকে আমরা দু’জন বসেছিলাম মঞ্চের এক্কেবারে পেছনে, যেখানে আলো নেই, আছে অন্ধকার। বিশ্বাস করবেন না ভাই, এরপর থেকে আমার পেটে ভাতও ঢুকছেনা কিন্তু পিৎজা ঢুকছে তাই আপাতত পিৎজা খেয়েই আছি’ এসব বলতে বলতে উনি সুসংবাদের কথা ভুলে গেলে উনাকে জনৈক সাংবাদিক সুসংবাদের কথা মনে করিয়ে দিলে উনি বলেন- “ও আচ্ছা! তাইতো একদম ভুলে গেলাম। আসলে হয়েছে কি একটু বেশি এক্সাইটেডতো, যাই হোক, আমি এখন থেকে আর গান-বাজনা করবো না, কারণ আমার গুরু তাহসান ভাই বলেছেন গানে নয়, আসল সুখ অভিনয়ে, উনি আরও বলেছেন গান-বাজনা করলে মেয়ে ভক্ত খুব বেশি পাওয়া যায়না কিন্তু নাটক সিনেমায় অভিনয় করলে পাওয়া যায়, উনি আরও বলেছেন যে বিশেষ করে বিদেশী মডেল নিয়া কাজ করলে বেশি বেশি মেয়ে ভক্ত এবং সাথে কিছু ছেলে ভক্তও পাওয়া যায়। তাই আমিও চিন্তা করে দেখলাম, আরে সত্যিইতো মিউজিকে একটা অস্কার পেয়েছি এবার অভিনেতা হিসেবে একটা পাইলে ব্যাপারটা খারাপ হবে না! অথচ এতদিন কি গাঁধাটাই না ছিলাম। তার উপর গুরু বলেছেন যে আগামী আসরে নাকি বাংলাদেশি নাটক থেকেই অস্কারজয়ী অভিনেতা নির্ধারণ করা হবে” তার উপর হয়েছে কি ভাই, নতুন একটা জমি বায়না করেছি, এবার অস্কারটা পেলে ঐ টাকা দিয়ে জমিটা একেবারে কিনে ফেলতে চাই”
এক পর্যায়ে অভিনয় শেখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন- “তাহসান ভাই থাকতে No চিন্তা Do ফুর্তি, উনি বলেছেন “মাত্র ৩০ দিনে অভিনয় শিখুন” বই থেকেই শিখে ফেলা যাবে এরপর কিছু পাতি ডিরেক্টরদের সাথে আউলা-ঝাউলা কয়েকটা কাজ করলেই কেল্লা ফতে! হে হে!”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।