‘অ্যাভেঞ্জারস:এন্ডগেইম’ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশার পারদের উচ্চতা বেড়েই চলেছে। এতো হাইপ তোলা মুভি হওয়া সত্বেও এর প্রচারণায় কোনো কমতি রাখছেন না রুশো-ভাই-ব্রাদার্স। দেশ থেকে দেশে, শহর থেকে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রিয় তারকাদের দলবল নিয়ে। তাই স্বভাবতই অত্যন্ত পরিকল্পিত নগরী ঢাকা শহরই ছিল তাদের ছবির প্রচারণার জন্য পারফেক্ট জায়গা। গত বছরের শেষের দিকে এক টুইট বার্তায় জো রুশো বলেছিলেন, “আগের মুভির টিকেটের জন্যে উত্তেজনায় বসুন্ধরা সিটির সিড়িতে পাবলিকের ধুমসে আছাড় খাওয়া দেখেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এই শহরে আসতেই হবে”।
তাই তারা এসেছিলেন ঢাকায়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “আসলে আমরা ঢাকা আসতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পরে সবাই মিলে হিসাব করে দেখলাম একবার ঢাকার মিরপুর নিয়ে এতো মিম আর ট্রল হয় তাই ঐ শহরটা একটু ঘুরে আসা দরকার। কিন্তু এখানে এসে এমন জ্যামে আটক পড়লাম রে ভাই এখন নিজের দেশে ফেরত যাবো কিভাবে তা নিয়েই চিন্তায় পরে গেছি!” এ কথা শুনে এক ধূর্ত সাংবাদিক তাকে তার বক্তব্যের সাথে মিল রেখে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন করেন যে, ঢাকাতেও আধুনিক সিনেমা হল আছে। রুশো চাইলে ওডিনসন শাকিব, মারভেল ববি এর সাথে প্রিমিয়ার আয়োজন করতে পারেন। তখন পরিচালকও একটু অবাক হয়ে বলেন, “আসলে আমরা আইম্যাক্সে মুভি দেখে অভ্যস্ত। তাই আপনাদের অত্যাধুনিক টু-ডি স্ক্রিনগুলা দেখলেও চোখে লাগে, সহ্য করতে পারিনা। এই প্রযুক্তি অচিরেই আমাদের ওখানে নিয়ে যাবার কথা আমরা ভাবছি”।
এ পর্যায়ে জেষ্ঠ্য সাংবাদিক মুন্না সাহা জো রুশোকে একটি কড়া প্রশ্ন করে বসেন যে, ভারত থেকে স্থানীয় তারকাদের অ্যাভেঞ্জারস ফ্র্যাঞ্চাইজি এর পরবর্তী মুভিগুলোতে নেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তাহলে বাংলাদেশের তারকাদের কেন এই সুযোগ দিচ্ছেন না তারা। জবাবে রুশো ঝেড়ে কেশে বলতে গিয়ে মিনিট দুই-এক সত্যি সত্যিই নন-স্টপ কাশতে থাকেন। এরপর তিনি বলেন, ”দেখুন, আপনাদের দেশের তারকাদের নিয়ে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা আছে। অচিরেই স্পাইডারম্যান এর আন্ট মে এর চরিত্রের জন্যে আমরা জয়া আহসান এর সাথে যোগাযোগ করবো। উনার মতো বয়সে আন্টি-দেখতে আপ্পি অভিনেত্রী আমরা খুজছিলাম, এখন পেয়েও গেছি। ধন্যবাদ”
এই ধরনের এলোমেলো কথা বার্তা চলতে থাকলে আমাদের প্রতিনিধি একটু এলেমেলো বোধ করে বের হয়ে চলে আসেন এবং মিরপুরের উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।