যেভাবে প্রতিটা সড়ক দুর্ঘটনার পর আন্ডারপাস আর ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে একদিন বাংলাদেশ ফুটওভারব্রিজের বাম্পার ফলনে (বিটিভির সূত্রানুযায়ী) সমৃদ্ধ হয়ে নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে অন্য দেশগুলোতেও রপ্তানি করবে।
আর এভাবেই উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসতে ভাসতে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে সরাসরি উন্নত দেশের তালিকা টপকে অতি অতি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হয়ে যাব বলে ধারণা করছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরা। এ ব্যাপারে আমাদের গরিব প্রতিবেদক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জনাব কেওড়া মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- “দেখেন ভাই ফুটওভারব্রিজ হলো একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প, শুধুমাত্র এই শিল্পের হাত ধরেই জাতি একদিন উন্নয়নের মহাসড়কে দৌড়াইতে দৌড়াইতে ক্লান্ত হইয়া গেলেও ব্রিজের উপ্রে উইঠা একটু জিরাইয়া নিতে পারবো। তাই এই শিল্পকে শুধু আক্ষরিক অর্থে দেখলেই হবে না, এখানে লুকিয়ে আছে অনেক বড় রূপক। কি ভাই বুঝছেন তো?” উনার করা প্রশ্নে আমাদের গরিব প্রতিবেদক কিছু না বুঝলেও মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললে উনি এরপর যোগ করেন- “গার্মেন্টস শিল্পে আর কয় টাকা আসে? বলেন! তাই অতি দ্রুত এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নইলে তো আর বিশ্ব অর্থনীতিতে টিকে থাকা যাবে না”
কিন্তু এমন শিল্প নিয়ে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ঢুকে যাওয়াকে চীন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। আজ ভোরে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট চি পিং পিং বলেন- “আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই! এই শিল্প বাজারে আইলে আমরা না খাইয়া মরুম।”
এ পর্যায়ে তিনি সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলেন- “কমিউনিস্ট ভাই বিরাদাররা তোমরা সবাই শোনো, এই শিল্পকে যেভাবেই হোক আটকাতে হবে। নইলে দুইদিন পর তোমরা নিজের কাপড় পরা কিংবা প্লাস্টিকের স্যান্ডেল পরা তো দূরে থাক দলের লাল পতাকাটাও বানাইতে পারব না!”
তবে এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ম্লাদিভির নাতিন। তিনি এক টুইটে লেখেন- “вау бангладеш вау”
বাংলাদেশ বিসিএস ক্যাডার হইতে চাই সংগঠনের সভাপতি জনাব কৌটা মিয়া জানান- “আমরা অনতিবিলম্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এই বিভাগে বিসিএস চালু করার আহবান জানাচ্ছি।” অন্যদিকে এই আগাম শিল্প মন্ত্রণালয়ে আগাম নিয়োগ পাওয়া জনাব তৈল খান বলেন- “দেখেন এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একদম পানির নাহান সুজা। যেই দেশে রপ্তানি করতে চাই সেই দেশে আমাগো ড্রাইভারগুলারে আগে পাঠামু, হেরপর দেখবেন কেমনে মুড়ির নাহান খালি ফুটওভারব্রিজ বেচা হয়! কি ভাই? সেইরাম বুদ্ধি না?”
সবশেষে আমাদের প্রতিবেদক শিল্প মন্ত্রণালয়ে ফোন দিলে ওখানকার ফোন অপারেটর জানান – তিনি এখন লুডু খেলা নিয়ে ব্যস্ত আছেন তাই কিছু বলতে পারছেন না।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।