সম্প্রতি একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জনাব মাহফুজুর রহমানের একটি একক সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি দর্শক শ্রোতাদের কাছে বেশ যা আলোচিত-সমালোচিত হয়।
এদিকে কিশোরগন্জ জেলার সদর থানার মানিক মিয়া নামের একজন স্মৃতিহারা লোক মাহফুজুর রহমানের গান শুনে তার হারানো স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন বলে দাবি করেছে তার স্বজনেরা। এ প্রসঙ্গে মানিকের ছোট ভাই রতন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি আমাদের জানান, “হুনইন ভাই, আমরার ভাইজানের লগে এক মাইয়্যার লাইন(প্রেম) আছিলো। পরে অইছে কি, আৎকা মাইরা(হঠাৎ করে) ঐ মাইয়্যার বিয়া হয়া গেছে গা। তার পরে আমার ভাই সবকিছুতা বুইল্লা(ভুলে) গেছিলো। কিন্তুক,মাহফুজ স্যারের গান হুইন্যা সে অতীতের বেক(সব) কিছু মনে কইরা ফালাইছে।”
আরো খোঁঁজ নিয়ে জানা যায়, মাহফুজুর রহমানের সংগীতানুষ্ঠান শুরু হওয়ার একটু আগে,একজন কবিরাজের পরামর্শ অনুযায়ী মানিককে টিভির রুমে আটকে রাখা হয়। তার হাত -পা বাঁধাও হয়। এরপর টিভির পুরো ভলিউম দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাড়ির বাকিসবাই কানে তুলা দিয়ে বাড়ি থেকে দূরে অবস্থান নেন। অনুষ্টান শেষ হলে বাসার সবাই দরজা খুলে দেখতে পান যে, মানিক মেঝেতে পড়ে আছে মানিকের ছোট ভাই রতনকে দেখে সে চিৎকার করে উঠে বলে, “টিভি বন্ধ কর,রতন আমার সব মনে পইড়া গেছে। আম্মা কই, ক ভাত দিতো,ভাত কুব ট্যাস্!”
অপরদিকে, মানিককে এই থেরাপির বুদ্ধি দেওয়া হোসেন কবিরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের জানান, মাহফুজ স্যারের গান মহৌষধি এবং তিনি স্যারের গান শোনানো থেরাপির সাহায্যে কোষ্ঠকাঠিন্য,অরুচি,শত্রুকে বশে আনা,অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্যগত করাসহ নানান সমস্যা দূর করেছেন।
দুরারোগ্য ব্যাধিসমূহের থেরাপি ও মেডিসিন হিসাবে গানগুলি ব্যবহার করা যায় কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখছেন তিনি।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।