in

মাইরালামাইরালা কস্কি মমিনকস্কি মমিন ভাল্লাগসেভাল্লাগসে সেন্টি খাইলামসেন্টি খাইলাম

কেকাপ্পার ‘ভালোবাসার শরবত’ খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ময়মনসিংহের মইনুল হাসপাতালে ভর্তি!

সম্প্রতি জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে ‘ভালবাসার শরবত’ নামের একটি অাইটেম তৈরি করে দেখান। সেই রেসিপি অনুসরণ করে নিজের বাসায় ‘ভালবাসার শরবত’ তৈরি করেন মইনুলের স্ত্রী মিসেস রেখা ফেরদৌসী। অার সেই শরবত খেয়ে প্রথমে পাতলা পায়খানা তারপর মারাত্নক বমিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন ময়মনসিংহের মইনুল মিয়া।বর্তমানে তিনি আশন্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের টয়লেটে বসে কাতরাচ্ছেন।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় মইনুলের স্ত্রী মিসেস রেখা ফেরদৌসী একটি বেডে বসে চিৎকার করে কাঁঁদছেন। তিনি বারবার বলছিলেন, “লুকটা মইরা গেলে আমার কি অইবো গো…. কেরে আমি এইডা হেইলারে খাওয়াইবার গেছলাম। আমগোর কত সুখের সংসার আছিন!”

এদিকে মইনুলের ছোট ভাই আমিনুল আমাদের সাথে কথা বলেন।তিনি জানান যে,পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত বিশেষ একটি রান্নার প্রোগ্রাম প্রচারিত হয়।তার ভাবি(মিসেস রেখা ফেরদৌসী) অনুষ্ঠানটির এবং সেইসাথে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসীর খুব ভক্ত!

সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ শরবত তৈরি করে দেখানো হয়।শরবতটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় লাচ্চি,লেবুর রস,চিনির সিরাপ ও অানারস। অনুষ্ঠানটি দেখে শরবতটি বানাতে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হন মিসেস রেখা।তারপর নিজের বাসায় সেটি বানিয়েও ফেলেন তিনি।ভালোবাসার দোহায় দিয়ে ইফতারিতে ঐ শরবতের প্রায় পুরোটাই খাওয়ানো হয় মইনুলকে।এরপর তিনি চেয়ার থেকে পড়ে যান এবং ঐখানেই কাপড় নোংরা করে ফেলেন। তারপর ঘন ঘন পাতলা পায়খানার সাথে বমি করতে করতে তিনি এক সময় বেহুঁশ হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় তাকে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়।হাসপাতালে নেয়ার পর জ্ঞান ফিরে অাসলেও তিনি এক মুহুর্তের জন্যও বেডে শুতে পারেন নি।টয়লেটে বালিশ দেওয়া হয়েছে। তার শরীরে স্যালাইনও লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক টয়লেটেই তিনি অাছেন।

সর্বশেষ অবস্থা জানতে তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি অামাদের টয়লেটের ভেতর থেকেই কাতর স্বরে বলেন, ” আফনেরা কারা? আমরা অবস্থা বুঝুইন না ক্যারে? কিয়ের অবস্থাডা কমু? যাইন তো…. ভালাবাইসা বিয়া করছিলাম। আমরা বউ আমারে ভূলায়া ভালায়া বিষ খাওয়াইছে। আমি মরলেই তো হের ভালা অবো।হুনুইন,আফনেরা যাইন। আর ডাক্তর রে কইন একটা কোলবালিশ দিতো!”

এরপর তিনি আর কোন কথা বলেন নি।

অামাদের কাছে এ তথ্য আসে যে,এই দম্পতি তিন বছর অাগে বিয়ে করেন। এরপর মিসেস রেখা তার নামের শেষে ফেরদৌসী যোগ করেছেন শুধুমাত্র কেকা ফেরদৌসীকে পছন্দ করার কারণে।তিনি প্রায়ই নিজ বাসায় কেকা ফেরদৌসীর টিভি প্রোগ্রামে দেখানো নানান রেসিপি তৈরী করেন।অার নিজেও খান স্বামীকেও খাওয়ান।গেলো রমজানে তিনি নুডুলস এর বিরিয়ানী এবং নুডুলস দিয়ে শুটকির ঝোলও নাকি করে খাইয়েছেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাইকে। এরপর মইনুলের বাবা মা তাদের গ্রামের বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই চলে যান। অার এদিকে আসেন নি।জরুরি কাজে ঢাকায় থাকায় মইনুলের ছোট ভাই শুধু বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। এদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক জনাব মুখলেস চৌধুরী জানান, “রোগী আশঙ্কামুক্ত নয়, পায়খানা বন্ধ হচ্ছে না। পায়খানা বন্ধ হলে উল্টো পথে শরবত বের করে আনবো!অামরা রোগীর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবো। বাকিটা মিরাকেল।”

বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।

What do you think?

Leave a Reply

প্রতিবছর গরম এলেই যে ১২টি অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আপনাকে যেতেই হবে

উত্তরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করায় সানসাকে অভিনন্দন জানিয়ে উত্তরাবাসীর আনন্দ মিছিল