in , ,

ভাল্লাগসেভাল্লাগসে কস্কি মমিনকস্কি মমিন মাইরালামাইরালা সেন্টি খাইলামসেন্টি খাইলাম

স্বল্প সময়ে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার কাছাকাছি যে ১০টি স্থানে

অনেকেই আছেন যারা সময়ের কারণে পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জন নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন না কারণ কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সাথে প্রস্তুতির একটা সম্পর্ক রয়েছে। অথচ স্বল্প প্রস্তুতি নিয়েই কর্মজীবনের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে শহরের নিকটে অনেক জায়গা আছে, যেখানে চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন প্রিয়জনদের নিয়ে। এখন আপনি নিশ্চই ভাবছেন কোথায় যাওয়া যায়?? চিন্তার কোনো কারণ নেই, আমরাই আপনাকে সন্ধান দিচ্ছি ঢাকার আশেপাশে এমন কিছু জায়গার নাম যেখানে চাইলেই আপনি পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জন নিয়ে স্বল্প সময়ে ঘুরে আসতে পারেন।

 

#১ বেলাই বিল

ঢাকার কাছেই ঘুরে বেড়ানোর জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পরিবেশ হতে পারে বালু নদী আর তার সংলগ্ন বেলাই বিল। আসছে বর্ষায় একদিনের জন্য ঘুরতে যাবার জন্য খুব চমৎকার একটি গন্তব্য হতে পারে এই জায়গাটি। একই সাথে একটি নদী আর বিলে ঘুরে আসার সুযোগ সচরাচর ঘটে না, তাও আবার ঢাকার এত কাছেই।লিস্তান থেকে বাসে গাজীপুর বাস-স্ট্যান্ড। আবার চাইলে মহাখালী থেকেও বাস নিতে পারেন। গাজীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে রিকশা বা টেম্পোতে কানাইয়া বাজার। কানাইয়া বাজার ঘাটে সারি সারি নৌকা বাঁধা। দরদাম করে উঠে পড়ুন। চাইলে নিজস্ব বাহনেও যেতে পারেন দলবেঁধে। বর্ষাকাল বেলাই ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

 

#২ পানাম নগর

যদি ঐতিহ্যের কাছাকাছি একটা দিন কাটাতে চান তবে নির্দ্বিধায় ঘুরে আসতে পারেন “হারানো নগরী” হিসাবে খ্যাত পানাম নগর বা পানাম সিটি থেকে। ঢাকা থেকে পানাম নগরের দূরত্ব ২৭ কিমি, যা সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর থেকে আধা কিমি উত্তরে অবস্থিত। পানাম নগর পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি, যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এ অবস্থিত। পানাম বাংলার প্রাচীনতম শহর।ঢাকার গুলিস্তান থেকে স্বদেশ বা বোরাককের এসি পরিবহনে ওঠে নামবেন মোরগাপাড়া চৌরাস্তা। ভাড়া নিতে পারে ৪০, ৪৫ অথবা ৫০ টাকা। সময় লাগতে পারে ১ ঘণ্টা, তবে শুক্রবার ছাড়া অন্যদিন হলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা হাতে নিয়ে বেরুতে হবে। মোরগাপাড়া চৌরাস্তায় নেমে দেখবেন অটো দাঁড়ানো আছে। সেখানে থেকে পানাম নগরীর ভাড়া ১০ থেকে ৩০ টাকা।

 

#৩ বালিয়াটি জমিদার বাড়ি  

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তরপশ্চিমে এবং মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৫ মাইল পূর্বে সাটুরিয়া উপজেলায় বিখ্যাত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অবস্থিত। বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি প্রায় ২০০ বছর পুরাতন।রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তরপশ্চিমে এবং মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৫ মাইল পূর্বে সাটুরিয়া উপজেলায় এই জমিদার বাড়ি অবস্থিত।কার গাবতলি এবং গুলিস্তান থেকে বেশকিছু বাস যেমনঃ বিআরটিসি বাস সার্ভিস, শুভযাত্রা বাস সার্ভিস, পদ্মালাইন ইত্যাদি মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসব বাসে মানিকগঞ্জে যেতে ভাড়া লাগবে প্রায় ৪০-৬০ টাকা।

 

#৪ জল জঙ্গলের কাব্য

জল-জংগলের কাব্য, দারুণ কাব্যিক একটা নাম থাকা সত্ত্বেও স্থানীয়রা এটাকে পাইলট বাড়ি নামেই বেশি চেনেন।পুবাইল কলেজগেট থেকে জল-জংগলের কাব্য মাত্র ৩ কিলোমিটার। জয়দেবপুর রাজবাড়ির পাশদিয়েও যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে গেলে টঙ্গী স্টেশন রোড বা ৩০০ ফিট দিয়ে যাওয়া যায়।
মহাখালি থেকে নরসিংদি বা কালিগন্জগামী যে কোনো বাসে উঠুন। ১ ঘন্টা পর পুবাইল কলেজ গেট এলাকায় নেমে পড়ুন। ভাড়া নেবে ৪০ টাকা। এরপর একটা ব্যাটারীচালিত রিক্সায় করে পাইলট বাড়ি। তবে অবশ্যই আগে বুকিং থাকতে হবে। অথবা ঢাকার সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, আজিমপুর, মহাখালী থেকে গাজীপুর পরিবহন, ঢাকা পরিবহন, ভিআইপি পরিবহন ও বলাকা পরিবহনে শিববাড়ী চলে যাবেন। ভাড়া ৭০ টাকা। শিববাড়ী থেকে অটোরিকশায় ভাদুন (ইছালি) জল জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট। ভাড়া ৮০-১০০ টাকা। খরচ : এখানে জনপ্রতি নেওয়া হয় ৩০০০ টাকা। নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবারসহ। খরচটা একটু বেশি মনে হতে পারে। তবে খাবার বহরা দেখলে তা আর মনে হবে না। সারাদিনের জন্যে ১৫০০ টাকা জনপ্রতি (সকালের সাস্তা, দুপুরের খাবার আর বিকেলে স্ন্যাক্স)। শিশু (৫-১০ বছর), কাজের লোক ও ড্রাইভার – ৬০০ টাকা জনপ্রতি।

 

#৫ গোলাপ গ্রাম

সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামটি বর্তমানে গোলাপ গ্রাম নামে পরিচিত। এখানে বছরজুড়েই গোলাপের গন্ধে ভরে থাকে সারা গ্রাম। ঢাকার সিংহভাগ গোলাপের চাহিদা এই গ্রামের উৎপাদন থেকেই মেটানো হয়। এক দিনের অবসরে বেড়িয়ে আসতে পারেন গোলাপের এই রাজ্য থেকে।ঢাকার খুব কাছেই সাভারে তুরাগ তীরে সাদুল্লাপুর (গোলাপ গ্রাম)-এর অবস্থান। ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে আপনি গাবতলী আসতে পারেন। ভাড়া ২০-২৫ টাকা। এরপর গাবতলী বাসস্টান্ড থেকে যেকোনো বাসে সাভার বাসস্ট্যান্ডের ওভারব্রিজের নিচে নামতে হবে। গাড়ি ভাড়া ২৫ টাকা। ওভারব্রিজ পাড় হয়ে পূর্ব দিকের বিরুলিয়া ইউনিয়নের রাস্তায় ব্যাটারিচালিত হ্যালো বাইকে করে ভাড়া ২০ টাকা দূরত্ব হবে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার। চলে যাবেন স্বপ্নের মতো সুন্দর গোলাপ গ্রামে।

 

#৬ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক,গাজীপুর

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে প্রায় ৩,৬৯০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। ঢাকার গুলিস্তান থেকে প্রভাতি-বনশ্রি বাস মাওনা যায়। এই বাসে করে বাঘের বাজার নামতে হবে। ভাড়া ৭০ টাকা। এছাড়াও মহাখালি থেকেও এই বাসে উঠা যাবে, ভাড়া ৬০ টাকা নিবে। অথবা সায়েদাবাদ থেকে বলাকা, গুলিস্তান থেকে গাজিপুরের যে কোন গাড়ি ও যাত্রাবাড়ি, মালিবাগ, রামপুরা থেকে সালসাবিল বা অনাবিল বা অন্য যে কোন বাসে গাজিপুর চৌরাস্তা গিয়ে, তারপর লেগুনা করেও যাওয়া যায়। চৌরাস্তা থেকে লেগুনা ভাড়া ৩০ টাকা।
এছাড়াও কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে গাজিপুর নেমে লেগুনা করেও যাওয়া যাবে বাঘের বাজার। বাঘের বাজার থেকে ইজি বাইক/ অটো রিক্সা/ সিএনজি করে ৩ কিলো পশ্চিমে পার্কের ফটক পর্যন্ত যেতে ভাড়া নিবে জনপ্রতি ১০ টাকা।

 

#৭ মহেরা জমিদার বাড়ি

টাঙ্গাইলে ঘোরার মতন সব জায়গার মধ্যে মহেরা জমিদার বাড়িটিই সবচেয়ে সুন্দর। ১ হাজার ১৭৪ শতাংশ জমির ওপর এই মহেড়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত। এটি তিনটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি। তিনটি স্থাপনার প্রতিটাতে অসাধারণ কারুকার্য করা। এসব কারুকার্য দেখলেই মন ভরে যাবে।মহাখালী থেকে ‘ঝটিকা সার্ভিস’ নামে বাস ছাড়ে। এছাড়া টাঙ্গাইল যাওয়ার আরো বেশ কিছু ভালো বাস আছে। মহেরা জমিদার বাড়ির বর্তমান নাম মহেরা পুলিশ ট্রেইনিং সেন্টার। ওখানে যেতে হলে নামতে হবে ‘নাটিয়া পাড়া’ বাসস্ট্যান্ড এ। সময় লাগবে ২-২.৩০ ঘণ্টার মতো। নেমে একটা অটো রিকশা নিয়ে যেতে হবে। তবে রিকশায় করে সরাসরি মহেরা জমিদার বাড়িতে যাওয়া যাবে। ভাড়া ২০-৩০ টাকা।

 

#৮ মৈনট ঘাট

রাজধানী থেকে দিনে গিয়ে দিনেই বেড়িয়ে আসা যায়।
ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে আসা একটি রাস্তা সোজা গিয়ে ইতি টেনেছে দোহারের মৈনট ঘাটে। এখানে এসে সড়কটির দুই পাশের চর দেখে অনেকেরই ভুল মনে হতে পারে। এটি কী নদীর চর, নাকি সমুদ্রের কোনো বেলাভূমি।নানান কারণে মৈনট ঘাট এখন ঢাকার মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এর প্রধান কারণ ঘাটের আশপাশে বিশেষ করে পূর্ব পাশে বিশাল চর আর সামনে বিস্তীর্ণ পদ্মা। এখান থেকে পদ্মা নদীতে নৌকায় ঘুরেও বেড়ানো যায় পাড় ধরে।গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার থেকে দোহারের মৈনট ঘাটে সরাসরি বাস সার্ভিস আছে যমুনা পরিবহনের। ভাড়া ৯০ টাকা জনপ্রতি, সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা।

 

#৯ নুহাশপল্লী

কথার জাদুকর হুমায়ুন আহমেদের জন্য নুহাশপল্লী ছিল একটি স্বর্গ। টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করার পর তিনি তাঁর বেশীরভাগ সময় এখানেই কাটিয়েছেন। সকলের জন্য উন্মুক্ত নুহাশপল্লীতে গেলে ছবির মত সুন্দর এই জায়গাটি ঘুরে দেখতে পারবেন।১৯৯৭ সালে ২২ বিঘা জমির উপর স্থাপিত নুহাশপল্লীর বর্তমান আয়তন প্রায় ৪০ বিঘা।গাজীপুর জেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরুজালি গ্রামে নুহাশপল্লী অবস্থিত। ঢাকা থেকে বাসে করে গাজীপুরের হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে শ্রীপুর, মাওনা, কাপাসিয়া এবং হোতাপুরের উদ্দেশ্যে প্রভাতি, বনশ্রীসহ বেশকিছু বাসচলাচল করে। বাসে যেতে খরচ হবে ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা।হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত নুহাশপল্লীতে টেম্পো, রিকশাভ্যান, অথবা বেবিট্যাক্সিতে পৌছাতে পারবেন।

 

#১০ জিন্দা পার্ক

কম সময়ে ও কম খরচে ঘুরে আসার জন্য যেতে পারেন পূর্বাচল হাইওয়ের কাছেই নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্ক। ঢাকা থেকে দুরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার । খাওয়া দাওয়ার জন্য পার্কের ভিতরেই রেস্টুরেন্ট আছে । এছাড়া, রাতে থাকার জন্যেও আছে গেস্ট হাউজ । প্রবেশ টিকেট জনপ্রতি ১০০ টাকা ।

What do you think?

Written by Bishal Dhar

নাম ধাম তো দেখসেন আর কি দেখেন , অতিরিক্ত কৌতুহল ভালো না যান লেখা পড়েন

Leave a Reply

শ্বশুর বাড়ির দেয়া বেগুনিতে বেগুন না পেয়ে স্ত্রীকে তালাক দিলেন কুমিল্লার এক যুবক

গত রাতে এক হালি গোল আর এক গ্লাস পানি দিয়ে সেহেরি খেয়েছিলেন এক বার্সা ফ্যান