১-৩ শ্রেনী পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিলের কথা শুনে দেশের বিভিন্ন স্কুলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের হিড়িক লেগে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দিন আগে সরকার ১-৩ শ্রেনী পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল করতে সকল স্কুল কলেজকে নির্দেশনা দেয়। এতে করে সকল শ্রেনী পেশা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া যেসমস্ত পোলাপান পরীক্ষাকে হাশরের ময়দানের কঠিন পরীক্ষার মতো মনে করে সেই সমস্ত ছাত্রদের মাথা পুরোপুরি আউলা-ঝাউলা হয়ে গেছে। তারা গনহারে ১-৩ তৃতীয় শ্রেনীর ফর্ম কেনা শুরু করে। এতে করে চাহিদা মেটাতে না পেরে শুরু হয় ফর্ম সংকট। কিছু কিছু ছাত্র আবার দুই একটা ফর্ম বেশি করে কিনে ব্ল্যাকে বেশি দামে বেচা শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এতদিন ধরে ঐতিহ্য বজায় রেখে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসা কমিটি প্রফাক-এর সাধারণ সদস্য জানান- “ভাই! আমরা এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই, একবার চিন্তা কইরা দেখেন। এভাবে যদি সব ক্লাসের পরীক্ষা উঠে যায় তাহলে আমাদের বৌ বাচ্চা লইয়া আমরা কই যামু? তাছাড়া এই ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একটি কুচক্রী মহল দেশকে মেধা শূন্য করার পায়তারা করতেছে! কিন্তু মেধা শূন্য যখন করতেই হবে সেটা পরীক্ষা দিয়া প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমেই হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি! এতে করে প্রশ্নফাঁস শিল্পের সাথে জড়িতরা তাদের পরিবার নিয়ে বাঁচতে পারবে”
এ ব্যাপারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন যে- “পরীক্ষা দিতে দিতে জীবনটা তামা তামা হয়া গেসে ভাই, যেখানেই যাই সেখানেই খালি পরীক্ষা আর পরীক্ষার খবর। এই যে মনে করেন, একটা পরীক্ষা শেষ রাইতের বেলায় ঘুমায়া সকালে উইঠাই হুনি আরেকটা পরীক্ষা! আর ভালো লাগেনা! তাই আবার ওয়ান, টু কিংবা থ্রিতে ভর্তি হয়ে কয়েকদিন চিল করে শিক্ষাজীবন কাটাতে চাই। তাছাড়া স্কুলে থাকতে এই পরীক্ষার জন্য আমার ১-৩ প্রত্যেকটা ক্লাসে ডাব্বা মেরে আমার এক ইয়ারেই থাকার একটা দারুন অভিজ্ঞতা রয়েছে।” এসব শুনে আমাদের প্রতিবেদক যিনি নিজেও একজন ফাঁকিবাজ ছাত্র ছিলেন তিনিওও ফর্ম কেনার জন্য লাইনে দাড়ালে উনার থেকে আর কিছু জানতে পারেননি। ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।