in

মাইরালামাইরালা সেন্টি খাইলামসেন্টি খাইলাম ভাল্লাগসেভাল্লাগসে কস্কি মমিনকস্কি মমিন

জাস্টফ্রেন্ডকে বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করিয়ে দিয়ে এপ্রিল ফুল উদযাপন করলো ভিকারুননিসার ছাত্রী

আজ জাস্টফ্রেন্ডের সাথে বয়ফ্রেন্ডের দেখা করিয়ে দিয়ে সত্যিকারের এপ্রিল ফুল উদযাপন করলেন ভিকারুননিসার এক কলেজ ছাত্রী। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য গেলে মেয়েটির জাস্টফ্রেন্ড মগা কাজল কাঁদতে কাঁদতে হাতে টিস্যুর বক্স নিয়ে বলতে থাকেন- “গত তিনমাস ধরে আমরা একসাথে ঘোরাফেরা করছি, আমি ওর প্রেমে লাট্টু হয়ে কতদিন ওর কলেজের সামনে লাল শার্ট, হলুদ প্যান্ট এবং গগলস গলায় ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি। অসংখ্যবার কুদ্দুস ফুড কর্নার (KFC) থেকে ভাজা মুরগী ভাগাভাগি করে খেয়েছি। আর আজ সকালে দেখা করতে বলে ও আমাকে ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করিয়ে বলে কিনা “হ্যাপি এপ্রিল ফুল ভাইয়া” এইডা কোন কথা। কুদ্দুস ফুড কর্নারে আমাদের কত স্মৃতি আছে একসাথে। কি করি নাই আমি ওর জন্য? এসাইনমেন্টের ফটোকপির জন্য ভোর রাত থেকে ফটোকপির লাইনে দাড়ায়া থাকসি, বাসায় মরিচ নাই মধ্যদুপুরে গনগনে রোদের মধ্যে কাঁচাবাজার থেকে ১০০ টাকার মরিচ এনে দিসি। আমার ঐ মরিচ এনে দেওয়া কি বৃথা? নিজের টাকা, শ্রম, সময়, এতকিছু ইনভেস্ট করলাম আর দিন শেষে কিনা উই আর জাস্ট ফ্রেন্ডস?” এইটা বলে তিনি ঝর ঝর করে কেঁদে দেন।

তবে এ ব্যাপারে ভিকারুননিসার আপুটির সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান- “আমি এখন মিটনের ফ্ল্যাটে ব্যস্ত আছি! আপনারা পরে যোগাযোগ করেন।” এই বলেই উনি ফোন কেটে দেন। কিন্তু আমাদের প্রতিবেদক মিটনের ফ্ল্যাট নাকি লিটনের ফ্ল্যাট সেটা নিশ্চিত হতে তাকে আবারো ফোন করলে তিনি জানান- “দেখেন ভাই ফ্ল্যাট লিটনের হোক আর মিটনের হোক, কাজ হলেই হলো। যাই হোক, আমাদের কাজ শেষ আমি এখন কথা বলতে পারি। কি যেন জিজ্ঞেস করতেছিলেন?” এ পর্যায়ে আমাদের প্রতিবেদক তাকে এইরকম একটি হয়রানির গল্প সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- “আমি আসলে অনেকদিন আগে থেকেই এই প্ল্যান করেছিলাম। আর তাছাড়া ওর মতন একটি বুকাচুদার কপালে এমনটাই হওয়া উচিত। কারণ ওই শালায় এক নাম্বার ছাগল! শালাকে যখনই কাজ করে দিতে বলি ও তখনই করে দেয়। ওই শালাকে আমার কাজের লোক মনে হইতো! তাই আমি চিন্তা করছি এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই শালাকে সত্য কথাটা বলে দিবো!”

এই কথা বলার পর লাইন কেটে দিলে আমাদের প্রতিবেদক উনাকে আর ফোনে পায়নি।

বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।

What do you think?

Written by বাংলার ব্যাটম্যান

It's not who you are underneath; it's how much you love "কাচ্চির আলু" that defines you.

Leave a Reply

১০টি বাজেট ফ্রেন্ডলি ফাউন্ডেশন যেগুলো আপনি ঘরে বসেই কিনতে পারেন

বাংলাদেশের মানুষের যে ১০টি সুপার পাওয়ার মার্ভেল ও ডিসি সুপার হিরোদেরকেও হার মানাবে