আমরা সব কিছুই যদি নেতিবাচকভাবে নিতে থাকি তাহলে একদিন দেশ থেকে ইতিবাচক ব্যাপারটা নাই হয়ে যাবে। এই যে কিশোরগঞ্জের গ্রামীণ রাস্তার মধ্যে ১৩ টা খাম্বা রেখেই পিচ ঢালাই দিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনেকেই এই কাজের সমালোচনা করছেন। অথচ আমরা এক্ষেত্রে সমালোচনার দিকে যেতেই চাচ্ছি না। বরং আমাদের কাছে এগুলো শুধু খাম্বা নয়, উন্নত চিন্তার এবং প্রযুক্তিগত সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। আমাদের মতে যিনি বা যারা এই কাজের সাথে জড়িত ছিলেন তারা একেকজন ভয়ানক দূরদর্শীতার লক্ষণ দেখিয়েছেন। এই লেখা পড়ার পর সড়ক নির্মাতাদের সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে, মনের অজান্তেই জেগে উঠবে কৃতজ্ঞতাবোধ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই খাম্বাগুলোর সদ্ব্যবহার করা যাবে-
#১
এখানে এতো গাড়ি না থাকলেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রত্যেকটি খাম্বায় ট্রাফিক লাইট বসানো যেতে পারে
#২
“মানবতার দেয়াল” কন্সেপ্ট এর আদলে একে “মানবতার খাম্বা” হিসেবে ব্যবহার করা যাবে
#৩
রাস্তার মাঝখানে এই ১৩ টা খাম্বাকে কন্সট্রাকটর এর ত্রুটি না বলে, “মডার্ন আর্ট” হিসেবে প্রচার করতে হবে। এতে করে দেশ-বিদেশের শিল্প বোদ্ধা এবং অসংখ্য ট্যুরিস্ট সেখানে ভিড় জমাবে
#৪
এই ১৩ টি খাম্বাকে বিভিন্ন প্রমোশনাল কাজে ব্যবহার করতে হবে। এজন্য “13 reasons why” কিংবা “Friday the thirteen” ইত্যাদি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে কন্ট্রাক্ট করতে হবে
#৫
এরকম নতুন এবং অপ্রয়োজনীয় খাম্বা খুব একটা নাই অন্য কোথাও। তাই প্রস্তাবিত ইদের চাঁদ দেখার যন্ত্র গুলো এসব খাম্বায় স্থাপন করা যাবে
#৬
প্রত্যেকটা খাম্বায় LED SCREEN বসানো যায়। যেখানে নির্বাচনী প্রচারণা সহ ইদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ, জাতীয় দিবস উপলক্ষে স্থানীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তার ভিডিও সারাবছর ধরে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা দেখানো হবে
#৭
খাম্বার গোড়ার মাটিতে বিভিন্ন লতা জাতীয় উদ্ভিদ (যেগুলো পিলার বেয়ে বেয়ে উঠবে) চাষ করে “ছাদকৃষি”র মতো “খাম্বা কৃষি”-কে তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে হবে। এ ব্যাপারে শাইখ সিরাজ সাহেবের সম্পৃক্ততা আশা করা যায়
#৮
প্রত্যেকটা খাম্বায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইট লাগাতে হবে। যেই লাইটের আলোয় পড়াশোনা করে আশপাশের গ্রামের সকল পোলাপান একেকজন বিদ্যাসাগর হয়ে যাবে
#৯
খাম্বা গুলো বেশ খোলামেলা জায়গায় অবস্থিত। তাই আরও শ-খানেক কোটি টাকা খরচ করে প্রত্যেকটা খাম্বায় ফ্যান লাগিয়ে সেখানকার জনগণকে গরম থেকে মুক্তি দেয়া যাবে
#১০
খাম্বা গুলোর চারপাশে অনেক কৃষিজমি আছে। তাই এগুলোকে মাটির হাড়ি এবং রঙ-বেরংএর কাপড় দিয়ে সাজিয়ে কাকতাড়ুয়া হিসেবে ব্যবহার করা যাবে