আমরা যখন প্রথম স্কুলে যাই তখন নতুন নতুন বন্ধুদের কাছ থেকে মজার মজার গল্প শুনতাম, কেউ আবার অন্য কারো কাছ থেকে শিখে আমাদেরকে নানান রকম ট্রিক দেখাতো। এসব ট্রিক দেখে আমরা এতটাই বিস্মিত হতাম যে, নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারতাম না। এতে করে নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচিত হতাম, পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে সেসব ট্রিক শিখে আমাদের ভাই-বোন বা কাজিনদেরকে অবাক করেও আনন্দ পেতাম। এরকম কিছু ট্রিক নিয়েই Bengal Beats এর এই আয়োজন। দেখা যাক আপনার কতগুলো মনে আছে।
১. ক্যালকুলেটরে নাম লেখা:
সাধারণ ক্যালকুলেটরে যখন বড়দেরকে হিসাব নিকাশ করতে দেখতাম, তখন আমাদের বয়সী কেউ কেউ সেই ক্যাল্কুলেটরে বিভিন্ন নাম আর শব্দ লিখতে জানতো। যেমন, 07734 নাম্বারটি লিখে উল্টো করে ক্যাল্কুলেটর ধরলেই দেখতাম “HELLO” লেখা। আবার 734045 লিখলেই সেটা হয়ে যেত SHOHEL!
via GIPHY
২. boy থেকে বালকের ছবি আকা:
এরকমই একটা ট্রিক ছিলো boy শব্দ থেকে ছেলের ছবি আঁকা। ইংরেজি শব্দটা খাতায় লিখে y এর নিচ থেকে গোল করে দাগ টেনে b এর সাথে মিলিয়ে দিলেই কিউট একটা চশমা পরা ছেলের ছবি আঁকা হয়ে যেত।
via GIPHY
৩. রাবার ব্যান্ড এর ট্রিক:
বলা যায়, এটা একধরনের ম্যাজিক মনে হতো। একটি রাবার দুই আংগুল থাকা অবস্থায় কোনো স্পর্শ ছাড়াই ভিন্ন দুই আংগুলে চলে যেত।
via GIPHY
৪. জোড়ায় জোড়ায় আংগুল ছড়িয়ে রাখা:
হাতের দুইটা দুইটা করে আংগুল এক করে জোড়ায় জোড়ায় আলাদা রাখতে পারা ছিলো আরেকটা ট্রিক। মধ্যমার সাথে তর্জনি এবং অনামিকার সাথে কনিষ্ঠা আংগুল এক করে দুই জোড়া আংগুলের মাঝে যথেষ্ট গ্যাপ রাখা অনেকেই পারতো না।
via GIPHY
৫. ছেলের ছবি আঁকা:
এটা ছিল গল্পে গল্পে ছেলের ছবি আঁকা। গল্পটা এমন- আকাশে মেঘ জমেছে, মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ছে ( চুল)। এসময় রাস্তা দিয়ে দুইটা কচ্ছপ হেঁটে যাচ্ছে (চোখের ভ্রু)। মা দিলো দুইটা মিষ্টি (গোল গোল দুই চোখ), ছেলে সেগুলো খেয়ে গেল স্কুলে (অর্ধচন্দ্রাকার রাস্তা দিয়ে)। স্কুলে স্যার বললো 3 আর 3 কত (3 হলো একেকটা কান)? ছেলে বললো 6 (নাক)। স্যার দিলো রাইট (হাসিমুখ √)
via GIPHY
৬. হেলিকপ্টার:
এক টুকরা কাগজ এর উপরে একটু ছিঁড়ে ভাঁজ করে যদি ছেড়ে দেওয়া হতো তাহলে সেটা হেলিকপ্টারের পাখার মতো ঘুরে ঘুরে মাটিতে পড়তো। এটা সহজতম ট্রিক।
via GIPHY
৭. লাভ ক্যালকুলেটর:
জুনিয়র স্কুলে না হলেও, মাধ্যমিকে এসে সহপাঠীদের সাথে কাগজ কলমে এই গেইম খেলেনি খুব কম মানুষই আছে। প্রথমে কাগজে একজন ছেলে আর মেয়ের নাম লেখা হতো। পরে তাদের দুইজনের নামে মোট কয়টা অক্ষর আছে সেই সাপেক্ষে তাদের মধ্যে কতটুকু ভালোবাসা আছে সেটা পারসেন্টেজ আকারে বের করা হতো
via GIPHY
৮. FLAMES:
এটাও অনেকটা লাভ ক্যালকুলেটর এর মতোই দুইজনের নামের মোট অক্ষরের সাপেক্ষে FLAMES শব্দ থেকে এক এক করে অক্ষর বাতিল করে শেষ পর্যন্ত যে অক্ষর অবশিষ্ট থাকতো সেই অক্ষর অনুযায়ী তাদের মধ্যে কেমন সম্পর্ক হবে সেটা বের করা হতো। যেমন, শেষে F অবশিষ্ট থাকলে বুঝা যেত তাদের মধ্যে Friendship হবে। এরকম ভাবে Love, Affair, Marriage, Enemy ইত্যাদি।
via GIPHY
৯. কলম ছোট হয়ে যাওয়া:
একটি কলমের দুই প্রান্ত দুই হাতের আংগুল দিয়ে দ্রুতো চলাচল করানো হলে, দেখে মনে হতো- কলমের আকার আগের চেয়ে ছোট বা আগের তুলনায় অর্ধেক হয়ে গেছে।
via GIPHY
১০. রাবার ব্যান্ড এর ট্রিক-2:
দুই হাতে রাবার ব্যান্ড কে টেনে ছিড়ে ফেলার পরে দুই হাতের তালুর মাঝে রাবার রেখে দুই হাত ঘষলেই দেখা যেত ছিঁড়ে ফেলা রাবার জোড়া লেগে গেছে।
via GIPHY
১১. চোখের পাপড়ি উলটানো:
অনেক চোখের পাপড়ি উলটে রাখতে পারতো। এইটা দেখে ছোটবেলায় অনেকে ভয় পেতাম। ভাবতাম আসলেই চোখের কিছু একটা হয়ে গেছে অথবা এটা এমন কিছু যা সবাই পারে না।
via GIPHY
১২. পেন্সিল দিয়ে কাগজের উপরে পয়সার ছাপ:
সাদা কাগজের নিচে পয়সা রেখে তার উপর পেন্সিল দিয়ে ঘষলে পয়সার খুব নিখুঁত একটা ছাপ পাওয়া যেত। এটা প্রথম প্রথম দেখেও আমরা অবাক হয়ে যেতাম যে, এ-ও সম্ভব!?