বাসের সিট নিয়ে সত্য কথা বলায় হেল্পারের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে শ্রীলংকাকান্ড বাধিয়ে ফেলেছেন এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থলে মজা নিতে থাকা লোকদের থেকে জানা যায় যে দয়াগঞ্জের মায়া বাসস্ট্যান্ডের সামনে কলেজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন ঐ কলেজ ছাত্রী। এমন সময় রানী ভিলেজ পরিবহন নামে একটি বাস সেখানে যাত্রী নামানোর জন্য থামে। ঐ সময় ঐ কলেজ ছাত্রী বাসে উঠতে চাইলে বাসের হেল্পার তাকে বলেন “আফা বাসে সিট নাই উঠলে দাঁড়ায়া যাইতে হবে। গেলে উঠেন নাইলে ফুটেন”। বাসের হেল্পারের এমন সৎ ও নিষ্ঠাবান চরিত্রের জন্য সেই কলেজ শিক্ষার্থী সেখানেই হেল্পারের প্রেমে পড়ে যান।
বাসে উঠার পর বাস তার কলেজ পেরিয়ে গেলেও সেই শিক্ষার্থী বাস থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন তিনি বাস হেল্পারের প্রেমে পড়েছেন, বিয়ে করলে বাস হেল্পারকেই করবেন আর এই মুহূর্তে বাসেই করবেন। এ কথা শোনায় মজা নিতে বাসের আশেপাশে লোকজনের ভীড় জমে। খবর পেয়ে এক পর্যায়ে আমাদের মজা নিতে পছন্দ করা প্রতিনিধি সেখানে গেলে বাস হেল্পারের সাথে কথা বললে বাস হেল্পার তাকে জানান “এইডা কি ফাপড়ে পরলাম কন তো ভাইডি! অলরেডি আমার দুইডা বউ আসে, এই আফায় এহন আমারে বিয়া করতে চায়। আমি অহন কি করুম? কি আমার অপরাধ? বাসের সিট নাই এই সত্য কথাটা খালি কইসি! এর জন্য এহন আমার কাঁধে ঝুইলা পড়া লাগবো? ভাই আমারে বাঁচান!”
তবে ছাত্রীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি মহিলা সিটে বসে আমাদের প্রতিনিধিকে চিৎকার করে জানান “চুপ থাকো বেয়াদপ আগে কাজি ডেকে আনো আমি এই হেল্পারকে আজ এবং এখনই বিয়ে করবো। এমন সত্য বলা হেল্পার আমি জীবনে আর কোথাও খুঁজে পাব না।”
এদিকে ছাত্রীর পরিবারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে ছাত্রীর এক দুঃসম্পর্কের মামা পেছন থেকে সামনে এসে অতি আগ্রহের সাথে জানান- “ভাই, এমন সত্যবাদী ছেলে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। জীবনে কোনোদিন এরকম কাউরে দেখছেন? আমরা এই ছেলেকে যে করেই হোক আমাদের ঘরে আনবো!”
এ খবর শুনে হেল্পার সমাজে পড়ে গেছে আলোড়ন। আজ সারাদিনে আর কোন হেল্পার সিট আছে সিট আছে বলে প্রতারণা করে বাসে যাত্রী তুলে তাদের মনে কষ্ট দেয়নি। এ ব্যাপারে একজনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান- “ভাই, বিয়া সাদী জীবনে হইবো না ভাবসিলাম কিন্তু এবার থেকা সত্য কমু একটা না একটা গতি হইবোই। তার উপ্রে বাসা থেকে বিয়ার প্রেসারও আছে!”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।