প্রতিবেশীর কোন ধরনের কোন সমস্যা না থাকায় ব্যাপক হতাশ হয়ে পড়েছেন মগবাজারের পাশের বাসার এক আন্টি এবং শুধু হতাশ নয় একইসাথে তিনি হতাশবোধও করছেন। প্রতিবেশীদের একজন তার বাসার ঝামেলা ওই আন্টিকে না জানানোর শর্তে আমাদের জানান যে-“আশপাশের মানুষের বাসায় ঝামেলা লেগে থাকলেই নাকি সেই আন্টি বেশ ফুর্তিতে থাকেন এবং সুস্থ থাকেন। নিজের বান্ধবীদের সাথে প্রতিবেশীদের ঝামেলা নিয়ে গসিপ করাই নাকি ঐ আন্টির একমাত্র প্যাশন।”
এ ব্যাপারে পাশের বাসার সেই আন্টির সাথে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের বলেন- “আশপাশের বাসার মানুষদের সমস্যা থাকবেই আর না থাকলে আমরা সমস্যা বাঁধবো আর পরে এইটা নিয়ে গসিপ করবো এটাই তো আমাদের বাঙ্গালি সংস্কৃতি। আর এখন দেখেন কোথায় যাচ্ছে সমাজ? পাশের বাসায় আজ তিনদিন যাবৎ কোন ঝগড়াঝাটি ঝামেলা নাই! আমি তো রীতিমত সাফোকেটেড ফিল করছি! প্লিজ কিছু করেন যাতে পাশের বাসায় কোন ঝামেলা লাগে” বলেই আন্টিটি কেঁদে দেন।
এ ব্যাপারে নিখিল বাংলা পাশের বাসার আন্টি সমিতির সভাপতি জয়নব বিবি নিজ বাসায় বসে পাশের ঝগড়া নিজ মোবাইলে রেকর্ড করতে করতে আমাদের বলেন- “আমি মোহাম্মদপুরের ঐ বোনটির কষ্ট বুঝি। আমার নিজের প্রতিবেশীর মাঝখানে কয়দিন কোন সমস্যা ছিলোনা, কেমন যে লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। তবে আমরা এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি কিভাবে পাশের বাসায় সারাক্ষণ কোন না কোন সমস্যা লাগিয়ে রাখা যায়। এই রোজার ঈদ তো চলে গেলো কোরবানির ঈদের পর এই নিয়ে আমরা তীব্র আন্দোলনে যাবো।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।