গত রাতের লিভারপুল বার্সা ম্যাচের পর এক হালি গোল এবং এবং এক গ্লাস পানি পান করে সেহেরি করে নিলেন মিরপুরের হতভাগ্য এক বার্সা ফ্যান। এ ব্যাপারে জানার জন্য আমাদের ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো পাশের বাড়ির প্রতিবেদক ইখতিয়ারউদ্দিন মোহাম্মদ বিন আরিফ মইনুদ্দিন জন কবীর ভাই হতভাগ্য ঐ বার্সা ফ্যানের অনুভূতি জানার জন্য গেলে তিনি বলেন- “ভাই এইডা কোন কথা! এইডা কোন কথা? একটা না দুইটা না চার চারটা গোল? এ তো কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি সেহেরি করার জন্য তেহারি রাখসিলাম এখন চারটা গোল খেয়ে আমার পেট তো টইটম্বুর, বাধ্য হয়ে শুধু পানি খেয়ে সেহেরি করতে হইসে। এই দুঃখ আমি কই রাখি বলেন?” এই বলে তিনি হাউমাউ করে কান্না শুরু করলে আমাদের এই বিশেষ প্রতিনিধি তাকে তার দুঃখ ব্যাংকে জমা রাখার বুদ্ধি দেন। তিনি বলেন- “ভাই ব্যাংকে আমার পরিচিত লোক আছে, আপনে একাউন্ট খুলে ব্যাংকে দুঃখ রাখলেই ইন্টারেস্ট পাবেন এবং পরে আপনারে দুঃখ লোন নেয়ার ব্যবস্থাও কইরা দিমুনে।” প্র্রতিনিধির এই আশ্বাস শুনে উক্ত বার্সা ফ্যান কান্নাকাটি থামিয়ে ঘরের ফ্যান ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
তবে বার্সা ফ্যান ঘুমানোর আগে জানান- “নিখিল বাংলা বার্সা ফ্যান সমিতির কাছে আমি এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিবাদ জানাবো, রোজা রমজানের দিনে বার্সার এমন টিপ টিপ বারসা মার্কা খেলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা যাতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমি সেই আবদার জানাবো”
অন্যদিকে তিন দলীয় ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব রুনাল্ডু কবির আজ ভোর বেলায় গর্ত থেকে বের হয়ে জানান- “ভাই দেখেন, এতদিন কষ্ট কইরা গর্তে লুকাইয়া আছিলাম, এখন আর কোনো কষ্ট নাই, আমরা এখন শান্তিতে বাইরে গিয়া নিঃশ্বাস নিতে পারুম রে ভাই।”