আজ সকালে বরিশালের কলকাঠি এলাকার বড়া মিয়াকে বরিশাইল্যা খ্যাতার গাট্টি বলায় নোয়াখালীর মন্টু মিয়ার নামে মামলা ঠুকে দিয়েছেন কটুক্তির শিকার হওয়া বড়া মিয়া। স্থানীয় আজাইরা লোকের সূত্রে জানা যায় বরিশাল থেকে ঢাকা আসার উদ্দেশ্যে গত পরশু বিশাল গাট্টি যেটি আসলে খ্যাতার কিনা জানা যায়নি তবে সেটি নিয়ে লঞ্চে উঠেন বড়া মিয়া। এরপর তিনি লঞ্চঘাটে নামার সাথে সাথে পান দোকানদার মন্টু মিয়া তাকে এমন কটূক্তি করেন। এসব নিয়ে এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডা শুরু হলে পাশের আরেক দোকানদার কুমিল্লার কুতুব উদ্দিন হিটলার নোয়াখালীর মন্টুর সাথে গলা মিলিয়ে তাকে অপমান করলে বড়া মিয়া অত্যন্ত রাগ অনুভব করেন। তিনি তখন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করেন- “এ ব্যাডা মুই কোলো ইউনাইটেড স্টেটস অফ মিরপুরের বাসিন্দা বোজ্জো! মোরে যে তোরা বরিশাইল্যা কইয়া খেপাইতেয়াছো তোগো কোলো খবর আছে আ”। এমন অবস্থায় তিনি মাথা থেকে তার গাট্টি (যেটা খ্যাতার নাকি অন্যকিছুর জানা যায়নি) নামিয়ে তাদের দিকে তেড়ে গেলে নোয়াখালীর মন্টু ও কুমিল্লার কুতুব উদ্দিন হিটলার ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী এরপর থেকে তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বড়া মিয়ার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন- “মুই হইলাম কলকাঠি এলাকার পোলা বোজ্জো! মোরা কোলো কলকাঠি নাড়াইন্না মানু! মোগো লোগে টক্কা দেলে মোরা কোলো খবর হৈররা হালাই! মুই হেদিন ফ্লাইট গোনে যেই নামলাম। মোর মাতায় আছেলে ছোট্ট এউক্কা পোটলা। হেইয়া দেইক্ষা আচুক্কা হ্যারা কইলে এইয়া নাহি খ্যাতার গাট্টি! আরে মেয়া, মোর গাট্টিতে কত দামি দামি জিনিস আছেলে হেইয়া তারা জানে? এ ব্যাডা এ! হে মোরে কয় মুই নাহি বরিশালের খ্যাতার গাট্টি! আরে ব্যাডা মোরাতো ফেলাইটে কইররা ঢাহায় আই, তোরা তো আহো বাসের ছাদে হৈররা! হা দিসি এবার মামলা ঢুকাইয়া, এবার বোঝবেয়ানে কত ডাইলে কত লবন! বোজ্জো মনু! তয় মুই কোলো কেইস দিছি মন্টু মেয়ার নামে। কিন্তুক কুতুব উদ্দিন ক্যান পলাইয়া বেড়াইতেয়াছে হেইয়া মুই জানিনা”
এই মামলার পর হাইকোর্টের ৫০ সদস্যের এক বিশেষ বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। কেন না বুঝেই এটাকে খ্যাতার গাট্টি বলা হলো তা যাচাই করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য উচ্চ আদালত।
এদিকে সদরঘাট বিমানবন্দর থানার ওসি জানান- “দেখেন ভাই, উনিতো ডাইরেক্ট হাইকোর্টে মামলা করেছেন, তদন্তের সাপেক্ষে পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই বলা যাবেনা। আর আমি এখন বিমানের নিরাপত্তা নিয়া ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলেন!”
কিন্তু গ্রেপ্তার মন্টু মিয়া বাসায় গিয়ে আমাদের ধার করা প্রতিবেদক জানতে পারেন যে, উনি প্রথমে কিছুদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সেজে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর ধরা খাওয়ার পর তিনি আবারো গা ঢাকা দিয়েছেন। আর অন্যদিকে কুতুব উদ্দিন হিটলারের বাসায় গিয়ে জানা যায় উনি কেন পালিয়েছেন তা সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।