আজ সকালে গেম অফ থ্রোনসের ৮ম সিজনের ১ম এপিসোড সম্প্রচারিত হয়। এই সুযোগে সকাল বেলায় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাশের বাড়ির জানালার ৪৫ ডিগ্রী কোন বরাবর আয়না বসিয়ে এই পর্বের অল্প কিছু দৃশ্য দেখে ফেলেন বরিশাইল্যা নান্টু। এরপর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে নোয়াখাইল্যা মন্টুকে একটি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে “জেইমি সার্সেইকে মেরে ফেলছে” নামক স্পয়লারটি জানিয়ে দেন। ঘুম থেকে উঠে স্পয়লার দেখামাত্রই নোয়াখাইল্যা মন্টু মাইল্ড স্ট্রোক করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবারের অন্য সদস্যরা।
এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিনিধি বরিশাইল্যা নান্টুকে খুঁজে না পেয়ে নোয়াখাইল্যা মন্টুকে হাসপাতালে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে মন্টু বলেন- “ভাই! আঁই ফুরা রাইত জাগি সিলাম GOT দেইকবারলাই। কিন্তু আঁই অফেক্ষা কইরতে কইরতে বিয়ান ৫ টায় জাইনতে ফারি যে ইগা বলে বিয়াইন্না ৭টায় সম্প্রচার হইবো! বুইজেন্নি! তো আঁই চিন্তা কইরলাম ২ ঘন্টা ঘুম যাই! ওমা! আর গুম ভাঙে দুফুর ১টায়। উডি দেহি আরে একগান মেসেজ পাডাইছে। এই ক্লিক করতেই দেহি “জেইমি সার্সেইরে মারি ফালাইসে!” ইগা কোনো কতা?” এই বলেই তিনি কান্না শুরু করলে নার্স এসে রোগীর অবস্থা ভালো না বলে আমাদের প্রতিনিধিকে বের করে দেন. কিন্তু কিছুক্ষন পর রোগী নিজ থেকে এসে জানান- “আঁই হেতার নামে কেইস কৈরমু! হেতারে এই জেলের বাত না খাওয়ায়ে মইরতাম ন! আর মন্টু! হেতার মতন লোক এই ফকেটে লই গুড়ি!”
কিন্তু স্পয়লার দিয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে নান্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “আরে ভাই! হৈছে কি মুই কই! হলেই বোজবেন আনে! হে যহন বাড়ি তোলছে তহন হে মোর বাড়ির বেতর দুই হাত জায়গা খাইয়া দেছেলে! হেইফান্নে মুই হেরে স্পয়লার দিয়া দিছি! এখন বুঝুক ঠেলা!” এ পর্যায়ে আমাদের প্রতিনিধি তাকে বলেন যে, এমন কোন দৃশ্য তো এই পর্বে ছিলো না, তাহলে কেন এমন মিথ্যা স্পয়লার দিলেন? তখন তিনি বলেন- “আরে! হৈছে কি! মুইতো আর এইয়া দেহিনা! মুই একদিন হোনছেলাম যে জেইমি নাহি সার্সেই কে মেরে ফেলতে পারে। তাই ধারণা হৈররা দিয়া দিছি! হা হা!”
এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নোয়াখাইল্যা যুবসংঘের সভাপতি এক ফেসবুকের স্ট্যাটাসে জানান- “হেতেরা আংগো লগে যুদ্ধ ঘোষণা কইচ্ছে ! আইজ থেইক্যা হেতাগো আঁরা সাই লমু!”
তবে উক্ত থানার কর্মরত পুলিশ জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে! যদি কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার শুরু হয় তাহলে পুলিশ সদস্য সদা প্রস্তুত!
সমাজের অনেক বিশিষ্ট জ্ঞানীরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা এক বিবৃতিতে বলেন- এভাবে মানসিকভাবে কাউকে পঙ্গু করে দেয়া বড় রকমের মানবাধিকার লঙ্ঘন!