বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েই বাসার নিচে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ইলিশ মাছ পেয়ে গেলেন বসুন্ধরার বসু মিয়া নামক এক ব্যক্তি। ঐ ব্যক্তির সাথে কথা বলতে গেলে উনি বৈশাখের আগেই ফ্রি তে ইলিশ পেয়ে যাওয়ার খুশিতে ঠ্যালায় উত্তেজিত হয়ে আমাদের বলেন “আর বইলেন না এ এক অদ্ভুত কান্ড! আমি তো রীতিমত শিহরিত। বৈশাখে ইলিশের যে দাম উঠে তাতে কিডনি বেচা ছাড়া কোন উপায় থাকে না তাই আগেই ভাগেই ইলিশ কিনে ফ্রিজে লালন পালন করে বড় করে ভাবসি বৈশাখে খুব ট্যাশ করে খাবো। কারণ আপনার ভাবি আবার ইলিশ ছাড়া একেবারেই বৈশাখ পালন করতে পারে না। গতবার ইলিশ কিনে দেইনি বলে আমার সাথে টানা তিনমাস কোনো কথাই বলেনাই! সে চিন্তা থেকেই সকালে বাজার থেকে ইলিশ কেনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হচ্ছিলাম। যেই ধরেন আমি বাসা থেকে বের হয়ে নৌকায় উঠলাম আর অমনি পানি থেকে একটা ইলিশ এসে টুপ করে আমার পায়ের ঝাঁপিয়ে পড়লে আমিও লাফিয়ে তা ধরে ফেলি। ধরেই সাথে সাথে বাসায় এনে ফ্রিজের মধ্যে বাটি চালান করে দেই।”
এদিকে বসুমিয়ার ইলিশ পাওয়ার সংবাদে শহরজুড়ে পড়ে গেছে হইচই। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দ্বীপদেশ মিরপুরের লোকজন এসেও বসুন্ধরায় ভিড় করেছে এই আশায় যদি বসু মিয়ার মত তারাও বসুন্ধরার জমা পানি থেকে ইলিশ ধরতে পারে। অনেকে কারেন্ট জাল নিয়েও এসেছে ইলিশ ধরার জন্য। এই নিয়ে কোস্টগার্ড রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
ইলিশ কিনে দেওয়ার শর্তে বসু মিয়ার এক প্রতিবেশী আমাদের বলেন “কপালটা দেখসেন একদম চাঁন কপাল, এই জন্যই বোধহয় গান লিখসিলো দ্রিজেন্দ্রবাবু ধন ধান্যে পুস্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা। আমার তো বসু ভাইরে রীতিমত হিংসে হিংসে হিংসে হচ্ছে আমিও তার মত হতে চাই।”
জমা পানিতে ইলিশ পাওয়ার পর থেকেই সেলিব্রেটি সোশ্যাল মিডিয়ার হার্টথ্রব বনে যাওয়া বসু মিয়ার বউ লাইভে এসে তাদের ইলিশ দেখাচ্ছেন। বৈশাখে এই ইলিশ দিয়ে কি কি রেসিপি রান্না হবে তার ও বিবরণ দিচ্ছেন। এমনকি তাদের সেই লাইভের নিচে কুব ট্যাশ খ্যাত ময়না-মিজান কমেন্ট করে জানিয়েছেন যে তারা তাদের ইলিশ রেসিপির রিভিউ দিতে চায়।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।