Bengal Beats
সম্প্রতি প্রেমিকার জন্যে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে বাংলাদেশ বিমানের “ময়ূরপঙ্খী” ছিনতাই চেষ্টায় ব্যর্থ হলেও প্রেমিকার বাবাকে পটাতে গোল্লাপুরের হাজী চিল্লান মোল্লার পুত্র কল্যাণ মোল্লা ঠিকই পাশের বাড়ির ইয়ামাহা বাইক ছিনতাই করতে সফল হয়েছেন। এই ব্যাপারে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধিকে তিনি জানান- “আমি এখন প্রেমিকাকে নিয়ে ট্যান্ডরবান শহরে আছি। এখানে আমরা দুজন বিয়ে করেছি, এখন হানিমুনের জন্য মগালেকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আশা করি আমরা আমাদের প্রথম বাচ্চা সহ পরিবারের কাছে ফেরত আসবো।” 
তবে বাইক ছিনতাইয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন- “দেখেন ভাই, আমি আগে উরুকি ব্র্যান্ডের বাইক চালাইতাম, এর আগে চালাইতাম গুন্ডা ব্র্যান্ডের বাইক। তাই ওর আব্বা আমাকে পার্মানেন্ট গরিবের বাচ্চা ভেবে ওকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে করায় দিতে নিচ্ছিলো। এমনকি আমার আব্বারে একদিন অপমানও করছে। তাই তাড়াহুড়া করে, মানে কোনো উপায় না পেয়ে পাশের বাসার আক্কেল কাকার ইয়ামাহাটা নিয়া আসলাম। আর এতেই আমার জানুমানুর আব্বা আমাকে নিজ হাতে মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিল এবং পালায়া যাওয়ার জন্যে কিছু হাত খরচও দিল। তাই আমরা আর দেরি না করে শুভ কাজটা সেরে ফেললাম। তবে এই বাইক ছিনতাই করতে আমি কোন অস্ত্র কিংবা খেলনা ব্যবহার করিনাই। আমি শুধু রাতের বেলা লুঙ্গিটা মাথায় প্যাঁচায়া গাছ থেকে টপ করে আক্কেল কাকার সামনে পড়ছি, আর উনি ভয়ে বাইক ছেড়ে দৌড়ে পালাইছিলো। ব্যস, কেল্লা ফতে।”
এই পর্যায়ে কল্যাণ মোল্লার হবু বউ জানান- “ওকে আমি অনেকদিন বলেছি, একটা ইয়ামাহা কেনো, একদিন এক রেস্টুরেন্টে ওর গরিবী বাইকে যাওয়ার কারণে ওখানকার ওয়েটার আমাদের বখশিস পর্যন্ত নেয় নাই বরং ডিসকাউন্ট দিয়েছিলো কিছু, তাই আমি এখন চিন্তা করতেছি এই বাইকে চড়েই আমরা আবার ওখানে যাব এবং ওই শালাকে বখশিস দিয়ে আসবো। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।”
এই ব্যাপারে সবশেষে আক্কেল মিয়াকে ফোন করা হলে উনি ফোন ধরেনি। তবে অত্র থানার ওসি বলেছেন আমি এখন এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত আছি, আপনারা পরে যোগাযোগ করেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।
