আজ ২৪শে চৈত্র হলেও বাংলা ক্যালেন্ডারের কয়েকটি পাতা ডিঙিয়ে পহেলা বৈশাখ পালন করে ফেললেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। এই আয়োজন উপলক্ষ্যে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় পহেলা বৈশাখের পোশাক পরে আশপাশের মানুষদের ভীষণ বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন বলে জানান এক পথচারী। তিনি বলেন- “দেখেন ভাই কি একটা অবস্থা! আমি আমার নতুন প্রেমিকার জন্য এই পহেলা বৈশাখের ড্রেস কিনতে যাইতেছিলাম। কিন্তু এই মিছিল দেখে আমি ভাবছি আজকেই পহেলা বৈশাখ। হেরপর আমি আমার প্রেমিকাকে ফোন কইরা এই কথা জিজ্ঞেস করতেই ও আমাকে বলছে আর কখনো ফোন দিবা না! এখন আমার কি হবে? আমি এই ধরণের মিছা মিছিলের বিচার চাই!”
এদিকে বাংলাদেশ চাঁদ দেখা কমিটির প্রধান মুন মিয়া বলছেন ভিন্ন কথা, তিনি বলেন- “দেখেন ভাই আমরা তো একটু আগেভাগেই আকাশে চাঁদ দেখা গেছে ওই মেসেজটা লিখে রাখি। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করেই ক্লিক পড়ে যাওয়াতে উনাদের কাছে “আকাশে বৈশাখের চাঁদ দেখা গেছে” মেসেজটা চলে যায়। তাই বলে উনারা পঞ্জিকা না দেখেই এভাবে পালন করে ফেলবে? এটা কোনো কথা!?”
কিন্তু এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের প্রতিনিধি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের কাছে গেলে তাদের এডভান্স পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির সভাপতি জনাব পাকনাদ্দোজা জানান- “হা হা হা! আরে ভাই! ঐটা তো প্র্যাঙ্ক ছিল! আমরা আসলে অনেকদিন ধরেই নিজেদের বিজ্ঞাপন নিয়ে ভাবছিলাম কিন্তু এর মধ্যে আমাদের মার্কেটিং বিভাগের হেড আমাদের কাছে এই অভিনব আইডিয়া নিয়ে এলেন। তাই আমরা আজ যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতার মতো সবাইকে সেজে আসতে বলতেই সবাই পহেলা বৈশাখের সাজ দিয়ে চলে এলো।”
এদিকে মিছিলে অংশ নেয়া একজন অন্যদেরকে উসকানি দিয়ে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন- “আমরা সবার আগে পহেলা বৈশাখ পালন করে ফেলছি! ইয়েএএএএ! পারলে অমন করে দেখান!” কিন্তু তার এই স্ট্যাটাসের নিচে ইসরায়েলি জঙ্গি সংগঠন কোসাদের এক সদস্য অপমান বোধ করে জানান- “ঐ শালা! কম্পিটিশন লাগাইতে চাস? তোদের খবর আছে শালারা!”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।