এবার ঈদকে সামনে রেখে একটি কিম্ভুতকিমাকার ডিজাইনের ড্রেসের ছবি অনলাইনে ছাড়ে একটি ফ্যাশন ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠান! এই ড্রেস পরিহিত জনৈক মডেলের ছবি রীতিমত ভাইরালও হয়। সেখানে দেখা যায় একজন ছেলে মডেল একটি উভলিঙ্গিক (কনফিউজিং) ড্রেস পরিহিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে পোজ দিয়েছেন!
ড্রেসটি ‘না পান্জাবি, না মেক্সি/টপস’ ধরনের। রীতিমত হাস্যকর একটি ডিজাইনের ড্রেস বলে এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন, ড্রেসটি স্বামী-স্ত্রী কিংবা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড দুজনই পালা করে যেন পরতে পারেন তাই এমন ডিজাইন করেছেন ডিজাইনার।
এদিক এই ড্রেসটি ইদ উপলক্ষে উপহার হিসেবে নিজের বয়ফ্রেন্ডকে উপহার দেন মীম। উপহার দেওয়ার পরপরই তার বয়ফ্রেন্ড সাইদুল তার সাথে দীর্ঘ ছয় বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটান, অর্থাৎ ব্রেকাপ করেন!
সাইদুলের সাথে যোগাযোগের ব্যাপক চেষ্টার পর অবশেষে আমরা তার সাথে কথা বলতে সক্ষম হই। তিনি আমাদেরকে বলেন, “ও আমারে পাইছেডা কি? আমার নাম সাইদুল দেইখ্যা আমারে কয়দিন হরে হরে (পরে পরে) ‘চাই দুল, এই চাই দুল’ বলে রাগাইতো, আর অহন এই হিজলা (তৃতীয় লিঙ্গ বিশেষ) মার্কা জামা আমারে দিয়া কি বুঝাইবার চায়? আমি হিজলা?? এর মতো মাইয়ার লগে আমার সম্পর্ক রাহন সম্ভব না! এর চাইতে হারাডা জীবন আমি একলা কাডায়া (কাটিয়ে) দেয়াম(দেবো)! মীমের বাচ্ছা ডিম!”
অপরদিকে সাইদুলের গার্লফ্রেন্ড মীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি আমাদের খাঁঁটি ময়মনসিংগা টানে বলেন, “দেহুইন ভাই,ডিম ভাজি হরতাছি, অত কথা কইতারতামনা। তারে ভালাবাইস্যা আমি একটা সব চাইতে আপডেট ড্রেস দিসলাম। সে যে আমারে এমনে ব্রেকাপ কয়া ফালাইবো আমি ভাবিনাই। যা ভাগ, ক্ষেত কুতাকার! ফ্যাশান বুঝে না,হারাজীবন ক্ষেতামিই কইরা গেলো। লাগতো না আমার এরহম বয়ফ্রেন্ড! আর হুনুইন, আপনে ফোনডা রাহুইন, আমি ডিমডা ভাইজ্যাই কানমু, এহন আম্মু লগের রুমে, কানলে হুইনা লাইবো। আমার রুমে যাইয়্যা কানমু (কাঁদবো)!”
আমরা ড্রেসটির ডিজাইনারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ড্রেসটি দেখানোর পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন দেশ বরেণ্য ডিজাইনার বলেন, “দেখুন ড্রেসটি অদ্ভুত হলেও আমি এটা নিয়ে বেশ আশাবাদী। এটি নি:সন্দেহে উভলিঙ্গিক একটি ড্রেস। ড্রেসটির এ দেশে কদর না থাকলেও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক বাজার তৈরি করে ফেলবে এটি। এই ড্রেস রপ্তানী করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন….” উনার পুরো কথা শেষ হবার আগেই আমরা দৌড়ে পালিয়ে আসি!
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।