বৃষ্টির দিন মানেই বাঙালির খিচুড়ি দিবস, ১০ মিনিটের বৃষ্টি হলেই খিচুড়ি খাওয়ার ব্যাপারে সব বাঙালিই একমত, তবে ঝামেলাটা বাঁধে খিচুড়ির ধরণ নিয়ে। কারো পছন্দ ল্যাটকা খিচুড়ি আর আবার কারো পছন্দ ভুনা খিচুড়ি। এই দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত রূপ হিসেবে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ল্যাটকা খিচুড়ি এবং ভুনা খিচুড়ির সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। বৃষ্টি নামার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় এক যুবক নিজের রান্না করা খিচুড়ির ছবি #ল্যাটকাখিচুড়িইজদ্যাবেস্ট হ্যাশট্যাগের সাথে আপলোড করলে তাতে তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ভুনা খিচুড়ি লাভাররা নেতিবাচক কমেন্ট করা শুরু করেন, মূলত সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এরপর অনলাইন কমেন্ট যুদ্ধের একপর্যায়ে তাদের সবার ঘটি (পড়ুন মাথা) গরম হয়ে গেলে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য অনুযায়ী লাঠি-সোটা এবং টেটা নিয়ে গ্রীক যোদ্ধাদের কপি করে স্থানীয় মাঠে দুইদিক থেকে একে অন্যকে আক্রমণ করে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ল্যাটকা খিচুড়ির সমর্থকররা ভুনা খিচুড়ির সমর্থকদের দিকে গরম গরম ল্যাটকা খিচুড়ি নিক্ষেপ করলে তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়। এ ব্যাপারে জানার জন্য ভুনা খিচুড়ির সমর্থক গোষ্ঠীর একজন নিজের ভুয়া একাউন্ট থেকে মেসেঞ্জারে কল দিয়ে বলেন “খিচুড়ি মানেই ভুনা খিচুড়ি, এসব ল্যাটকা ফ্যাটকা মানুষ খায় নাকি, নামই তো কেমন ল্যাটকা আপনার নাম যদি ল্যাটকা রাখি কেমন লাগবে বলেন। শালারা অমানুষ একদিকে খিচুড়ির অপমান করে আরেকদিকে আমাদের গায়ে ঐ নকল খিচুড়ি ছুড়ে মারা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
অন্যদিকে ল্যাটকা খিচুড়ি সমর্থক গোষ্ঠীর সভাপতি ল্যাটকামাল সংঘর্ষের পর নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে এক স্ট্যাটাসে বলেন “বাংলার ঘরে ঘরে ল্যাটকা খিচুড়ির বৃষ্টি হবে যদি আমাদের কোনো কারণে দমানোর চেষ্টা করা হয়, খিচুড়ি মানেই ল্যাটকা বাকি সব ফটকা। জ্বি ধন্যবাদ!”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।