মেঘনা গোমতী সেতু খুলে দেওয়াতে ঢাকা থেকে মাত্র ১.৩০ ঘন্টাতেই কুমিল্লা পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে খুব দ্রুত হারে কমে যাচ্ছে কুমিল্লার জিডিপি। কারন হিসেবে জানা আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়ক প্রতিনিধি জানতে পারেন যে আগে ঢাকা থেকে চিটাগাং যেতে মানুষজন জ্যামে এবং অনেক দূর ঘুরে আসার জন্য কুমিল্লায় হিসুর জন্য ব্রেক নিত। কিন্তু এখন মেঘনা গোমতী সেতু হয়ে যাওয়াতে মানুষকে আর বেশি ঘুরে আসতে না হওয়ায় তারা মাত্র ১.৩০ ঘন্টাতেই কুমিল্লা ক্রস করে চলে যাচ্ছে। সেই সাথে হিসুর বিষয়কে ইস্যু করে কুমিল্লায় হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট গুলোতে গাড়ি থামানো হচ্ছে না। গাড়ি না থামানোয় হাইওয়ে হোটেলগুলো অনেক দামে খাবার দাবার বিক্রি করতে না পারায় খুব দ্রুত হারে কমে যাচ্ছে কুমিল্লার জিডিপি।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা হাইওয়ে পাবলিক টয়লেট সমিতির সভাপতি সাজ্জাটূল আলম সোহান আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদক যে কিনা ঢাকা কুমিল্লা হাইওয়ে দিয়ে আসা যাওয়া করে এবং এখনো সেখানে হিসু করাকে ব্যাপক ভাবে মিস করে তাকে বলেন- “কুমিল্লায় গাড়ি থামিয়ে মানুষ হিসু করবে এইটাই তো কুমিল্লার ঐতিহ্য। এইটা কোন কথা? মানুষ ১.৩০ ঘন্টায় কুমিল্লা ক্রস করে চলে যায়। আমাদের পেটে পিঠে সবখানে তো লাথি ঘুসি পড়ে যাচ্ছে রীতিমতো। কুমিল্লায় গাড়ি থামাতে না হলে আসছে ঈদের পর আমরা তীব্র আন্দোলনে যাবো বলেই” ভাইটি কেঁদে দেন।
এরপর আমাদের প্রতিবেদকের নিজেরই হিসু ধরায় তিনি বাথরুমে ঢুকে যাওয়ায় আর কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেননি। তবে তিনি এই প্রথম অল্প হিসু করেই বের হয়ে আসেন। কারণ এর আগে বাস থেকে অনেক চাপ নিয়ে তাকে সেখানে নামতে হতো।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায় যে, কুমিল্লার জিডিপি কমে যাওয়াতে রাতের আঁধারে অনেকেই পাশ্ববর্তী দেশ ইউনাইটেড স্টেটস অফ নোয়াখালীতে পালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে নোয়াখালির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবু নয়া জানান- “আরা হেতাগো দেকি লয়্যূম!”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।