গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারী ছিল আমেরিকান পিজ্জা রেস্টুরেন্ট চেইন ডোমিনোজ পিজ্জার বাংলাদেশ শাখার উদ্বোধনী দিন। কম বাজেটে যারা মানসম্পন্ন পিজ্জা খেতে চায় তাদের জন্য ধানমন্ডিতে ডোমিনোজ পিজ্জার উদ্বোধনের খবর ছিল ঈদের খুশির মত। শেষ এক মাস ধরে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছিল তাই শত শত বাংলাদেশি পিজ্জাপ্রেমিক। কিন্তু উদ্বোধনী দিনে এসব পিজ্জা লাভারদের জন্য পিজ্জা ছাড়াও অপেক্ষা করছিল এক অন্য রকম চমক।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো এক পিজ্জাপ্রেমিক বিকাল ৪টায় তার অর্ডার করা চিকেন ডমিনেটর পিজ্জা হাতে পাওয়ার পর আশেপাশের সবাইকে বলতে শুরু করে সে তার পিজ্জার উপর দেখতে পাচ্ছে মহান নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর মুখচ্ছবি। তখন সেই পিজ্জাকে ঘিরে সাময়িক জটলার সৃষ্টি হয় এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে ছুটে আসে ডোমিনোজ পিজ্জা কর্তৃপক্ষ। এরপর বিকাল ৬টায় ডোমিনোজ পিজ্জার বাংলাদেশ শাখার প্রধান পিজ্জায় সাইদীর মুখচ্ছবি দেখা যাওয়ার বিষয়টির সত্যতা সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের দারুন সৌভাগ্য এবং পরম পাওয়া যে চাঁদের পর আমাদের চিকেন ডমিনেটর পিজ্জার উপর এই কালজয়ী নেতার মুখচ্ছবি দেখা গেছে”। উল্লেখ্য যে, ছয় বছর আগে এই একই দিনে প্রথমবারের মত চাঁদে দেখা গিয়েছিল সাইদীর মুখচ্ছবি। এই অদ্ভুত কো-ইন্সিডেন্সের খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের পর থেকে ডোমিনোজ পিজ্জার সামনে উপচে পড়া ভিড়। রাত ১০টায় সাধারন মানুষের লাইন ধানমন্ডি ছাড়িয়ে মোহাম্মদপুরের দিকে মোড় নিয়েছে বলে জানান আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধি। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়ানো এক ব্যক্তিকে তার অনুভূতির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি আনন্দের সাথে আমাদের বলেন, “এর আগে যখন সাইদী সাহেবের চেহারা চাঁদে দেখা গিয়েছিল তখন আমি দেখতে না পেয়ে তিন দিন না খেয়ে ছিলাম। আজকে তাই আর মিস করলাম না। ফেসবুকে মানুষের স্ট্যাটাসে এই খবর পাওয়ামাত্র বৌ-বাচ্চা নিয়ে সুদূর উত্তরা থেকে ছুটে এলাম। যত রাত হোক না কেন আজ না দেখে বাড়ি যাব না”। তবে লাইনের পেছনে দাঁড়ানো অনেকে ব্যাপারটিকে ‘হাইস্যকর’ এবং নিতান্তই পাবলিসিটি স্টান্ট বলে মনে করেন।
চাঁদের পর পিজ্জায় সাইদীর মুখচ্ছবি দেখা দেয়ার পর থেকে অনেক ডোমিনোজ লাভাররা বলছেন পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটি না বলে ডোমিনোজের চিকেন ডমিনেটর পিজ্জা বলার দাবি রাখতে চান তারা। এই ব্যাপারে আজ সকালে ফেসবুকে ইভেন্ট খুলতেও দেখা গেছে কয়েকজনকে।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।