রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের আবাসিক ভবনে আসবাবপত্র তুলতে প্রচুর অর্থ খরচের বিষয়টি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশব্যাপী! বর্তমান বাজার দরের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে তোলা হয়েছে প্রতিটি আসবাবপত্র!
এই আসবাবপত্র তুলতে কর্তৃপক্ষ পারমানবিক রকেট ব্যবহার করেছেন কি না তা ঠিক বলা যাচ্ছে না! তবে মহাকাশে মালপত্র বহন করা বিশ্ববিখ্যাত স্পেস এক্স কোম্পানির সিইও এই খবর পেয়ে নিশ্চিত হয়েছেন- কোন পারমাবিক রকেট ছাড়া আসবাবপত্র তুলতে এতো বেশি খরচ হওয়ার কথা না।
সম্প্রতি মহাকাশে প্রেরণ করা পূনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট বানিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন এই প্রযুক্তিবিদ। তিনি ধারণা করছেন- রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে প্রতিটা আসবাব উপরে তোলার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটা করে পারমানবিক রকেট ব্যবহার করেছেন বলেই এত বেশি খরচ হয়েছে।
স্পেস এক্সের ফেলকন-৯ রকেটে করে বাংলাদেশের একমাত্র স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বেশ ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয় ইলন মাস্কের। সেই সম্পর্ক সূত্রে তিনি বাংলাদেশ সরকারের আসবাবপত্র পরিবহনে ব্যয় কমাতে তার মহাকাশ রকেট ফ্যালকন-৯ এ করে এসে সরাসরি ল্যান্ড করেন রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের ছাদে।
এতবড় রকেট ল্যান্ড করার পরও বিল্ডিং এর কোন ক্ষতি না হওয়ায় ইলন মাস্ক ধুম করে অবাক হয়ে যান। অবাক হয়েই জানতে চান
– রহস্য কী?
এই প্রশ্নের জবাবে পারমানবিক কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বলেন
– সবই টাকার খেলা!
এই টাকার খেলা প্রযুক্তি দিয়ে মঙ্গল গ্রহে বিল্ডিং বানানোর আশা ব্যক্ত করে ইলন মাস্ক বসেন আসবাবপত্র উপরে উঠানোর ব্যয় কমানোর বিষয়টা নিয়ে।
তিনি জানান- ফ্যালকন-৯ রকেট দিয়ে বিল্ডিং এ আসবাবপত্র তুললে আসবাবপত্র তোলার খরচ প্রায় তিন ভাগের এক ভাগে নিয়ে আসা সম্ভব!
এই কথা শোনার সাথে সাথে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক উঠাওবিদ বলে উঠেন-
“এত কম টাকায় কীভাবে করবেন এত কঠিন কাজ? আপনি গাঞ্জা খান না কি?”
তখন ইলন বলেন- “জীবনে একবার খাইছিলাম এখনো পিনিক কাটেনাই”
পরে ঐ কর্মকর্তা আরও বলেন- “আরে মিয়া, এইজন্যেই তো বুঝতেছেন না! এটা কী আপনি মহাকাশ পাইছেন? যে কইলেন আর উঠাইয়া দিলেন! এইটা বাংলাদেশের সরকারি কোয়াটারের আসবাব তোলার কাজ! মহাকাশের মতো এত মামুলি বিষয় নয়! কম টাকায় টেন্ডার দিয়ে পরে জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাবেন আপনি! আপনাকে কাজ দেয়া হচ্ছে না! যান, উড়েন মিয়া এখান থেকে”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।