in

মাইরালামাইরালা সেন্টি খাইলামসেন্টি খাইলাম ভাল্লাগসেভাল্লাগসে কস্কি মমিনকস্কি মমিন

Exclusive Interview: থ্যানোসের স্ন্যাপ থেকে বাঁচতে মিরপুরের ধুলার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন Hawkeye

গতবছর ইনফিনিটি ওয়ার রিলিজের পর থেকেই মুভি থেকে “হকআই কোথায়?” এই প্রশ্নের ঘুরানো ফিরানো জবাব দিতে দিতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছেন মুভির পরিচালক এবং প্রযোজকেরা। অবশেষে এন্ডগেইম এর ট্রেইলারে হকআইকে দেখে অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। কিন্তু এতোদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন হকআই? কেন বন্ধুদের চরম বিপদে তাদের সাথে ছিলেননা তিনি? এসব প্রশ্নের জবাব তার কাছ থেকে বলতে গেলে কেড়ে নিয়ে এসেছেন আমাদের বিশেষ প্রতিবেদক চুন্নি আহা।

চুন্নি আহা: কেমন আছেন হক ভাইয়া? আপনাকে ভাইয়া বলে সম্বোধন করলে আপত্তি নেই তো?

Hawkeye: না না একদমই না। “ভাইয়া” বলেছেন তাই চান্স আছে, “ভাই” বললে আপত্তি করতাম (হাসি)।

চুন্নি আহা: বেশ। এবার বলুন কোথায় চোরের মতো লুকিয়ে ছিলেন এতোদিন?

Hawkeye:

চুন্নি আহা: বলেন কি ভাইয়া! আপনি বাংলাদেশের মিরপুরে লুকিয়ে ছিলেন? এতো জায়গা থাকতে এখানে মরতে এসছিলেন কেন?

Hawkeye: এইতো একটা ভুল কথা বললেন। মরতে আসিনি, বরং আমি বাদে বেশিরভাগই মরে গেছে।

চুন্নি আহা: কিন্তু কোনো বিশেষ কারণ তো অবশ্যই আছে, তাই না?

Hawkeye: তা আছে বটে। প্রথমেই আসি নিরাপত্তার কথায়। পুরোটা সময় মিরপুরের সেনানিবাসের বিল্ডিং গুলার গা ঘেঁষে ঘেঁষে থেকেছি। থ্যানোসের আর্মি তো এই এলাকা ট্র্যাকই করতে পারে নাই। আর ট্র্যাক করতে পারলেও ওরা এখানে আসতে পারতো না। কারণ ওদের কাছে BUP বা MIST এর আইডি কার্ড নাই।

চুন্নি আহা: তাহলে আপনি বলছেন যে এই পুরো সময় জুড়ে মিরপুরের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়েছিলেন?

Hawkeye: শুধু মানিয়ে নিয়েছি এমন না, বলতে পারেন যে মিশে গেছি। ভেজাল খাবার খেয়ে খেয়ে আমার ইমিউনিটি বেড়ে গেছে। ওয়াসার বিশুদ্ধ পানি শুধু পান করেই ছাড় দেইনি বরং মেট্রোরেল নির্মান শ্রমিকদের সাথে সেই পানি দিয়ে গোসল, শৌচকার্য সব করেছি। একটা মাত্র সাদা শার্ট ছিলো আমার। কিন্তু মিরপুরের ধুলার কারণে শার্টটা একেকদিন একেক রঙের দেখাতো। কি যে ভাল্লাগতো তখন!

চুন্নি আহা: বাহ, ভালোই দিন গেছে আপনার। কিন্তু বন্ধুদের বিপদে সাহায্য না করে এভাবে গা বাঁচিয়ে চলতে লজ্জা করেনি আপনার? লোকে তো আপনাকে গালি দেয়, দিচ্ছে।

Hawkeye: বিশ্বাস করুন আমি সাহায্য করতে যেতাম। কিন্তু মিরপুরের বেশ কিছু দেওয়ালে লেখা দেখেছি, “জান বাঁচানো ফরজ” কিংবা “চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা”। এসব দেখেই আমি সতর্ক হয়েছি। তবুও আমি বন্ধুদের কথা ভাবতাম। রাতে ঘুম আসতো না। Ashes এর “ধুলাবালি” গান শুনতে শুনতে রাতের পর রাত পার করেছি।

চুন্নি আহা: তা মিরপুরে এতো দিন থাকলেন, কোনো পছন্দের জায়গা কিংবা পছন্দের কোন খাবার যা আপনাকে এখনো টানে?

Hawkeye:

চুন্নি আহা: এটাই স্বাভাবিক। যাহোক শেষ প্রশ্ন। আপনি এতোদিন পর ফিরে এসেছেন। নিন্দুকেরা বলছে আপনি আপনার খেলনা তীর-ধনুক দিয়ে থ্যানোসের বা★ টাও ছিড়তে পারবেন না। এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার আছে?

Hawkeye: ওরা আসলে প্রিয়জনদের অর্ধেক কে হারিয়ে একটা ট্রমার মধ্যে আছে। আমি শুধু তাদেরকে এটাই বলে দিতে চাই যে, ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে। আসুক ২৬ তারিখ… খেলা হবে!!!

চুন্নি আহা: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে হক ভাইয়া।

Hawkeye: আপনাকেও ধন্যবাদ। হলে গিয়ে আমার ছবি দেখবেন। হক মাওলা!

What do you think?

Written by Efter Ahsan

Leave a Reply

Endgame প্রথম শোয়ের টিকেট না এনে দিলে বয়ফ্রেন্ডকে ব্রেকআপের হুমকি দিলেন NSU ছাত্রী

Avengers: Endgame এর টিকেট এর জন্য বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে মিরপুর পর্যন্ত লম্বা লাইন