প্রেম বা ভালোবাসার উপন্যাস পরতে সবাই কমবেশি ভালোবাসেন। শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, সমরেশ মজুমদারের মত বোদ্ধারা অতুলনীয় অবদান রেখেছেন বাংলা সাহিত্যে এ ক্ষেত্রে। এখন ভেবে দেখুন তো এরকম পছন্দের একটি উপন্যাস কেমন হবে আমদের সময়ের প্রেক্ষাপটে। এখানে দিচ্ছি ওইরকম ৫ টি উপন্যাসের বিবরণ –
১. দেবদাস – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“দেবদাস নিজের পাতলা জামার খানিকটা ছিঁড়িয়া লইয়া, জলে ভিজাইয়া পার্বতীর কপালের উপর বাঁধিতে বাঁধিতে কহিল, ভয় কি পারু! এ আঘাত শীঘ্র সেরে যাবে- শুধু দাগ থাকবে।“
কিন্তু আমাদের সময়ে
২. শেষের কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“অমিত তার মুখ দেখে ঈষৎ হেসে বললে, কেতকীর সঙ্গে আমার সম্বন্ধ ভালবাসারই, কিন্তু সে যেন ঘড়ায়-তোলা জল—প্রতিদিন তুলব, প্রতিদিন ব্যবহার করব। আর লাবণ্যর সঙ্গে আমার যে ভালোবাসা সে রইল দিঘি, সে ঘরে আনবার নয়, আমার মন তাতে সাঁতার দেবে।“
কিন্তু আমাদের সময়ে
৩. কালবেলা (অনিমেষ #২) – সমরেশ মজুমদার
“তাই তো মরে! মেয়েদের কাছে ভালোবাসার চেয়ে মরণ আর কিছু নেই ভাই। সব চলে যাচ্ছে জেনেও অন্ধ হয়ে থাকতে হয়।“
কিন্তু আমাদের সময়ে
৪. পরিণীতা – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“আমি কিছু করিনি, বলিয়াই সে মালাটা টান মারিয়া ছিঁড়িয়ে ফেলিবার জন্য হাত দিয়াই হঠাৎ শেখরের চোখের দিকে চাহিয়া থামিয়া গেল। আর ছিঁড়িয়া ফেলিতে সাহস করিল না, কিন্তু কাঁদিয়া বলিল, আমার কেউ নেই বলেই ত তুমি এমন করে আমাকে অপমান করচ!”
কিন্তু আমাদের সময়ে
৫. চোখের বালি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“মহেন্দ্রের সম্মুখে এ পর্যন্ত বিনোদিনী বাহির হয় নাই, কিন্তু বিহারী তাহাকে দেখিয়াছে। বিহারী এটুকু বুঝিয়াছে, এ নারী জঙ্গলে ফেলিয়া রাখিবার নহে। কিন্তু শিখা এক ভাবে ঘরের প্রদীপরূপে জ্বলে, আর এক ভাবে ঘরে ধরাইয়া দেয়।“
কিন্তু আমাদের সময়ে