তিতাস গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের কথা শুনে ব্যাংকগুলোতে পড়ে গেছে গ্যাস সিলিন্ডার জমা করার হিড়িক। গত মঙ্গলবার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাসের দাম ১০০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব সাধারণ মানুষের মাথা আউলায়া যায়। ফলশ্রুতিতে মানুষজন চোরাই মার্কেট থেকে খালি খালি গ্যাসের সিলিন্ডার কিনে গ্যাসের লাইন থেকে পাইপ দিয়ে সিলিন্ডার ভর্তি করে তা ব্যাংকে জমা দেওয়া শুরু করে।
সবাই একসাথে জমা দেওয়ার কারনে বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে সৃষ্টি হয় তীব্র লাইন। লাইনে কে কার আগে যাবে তা নিয়ে অনেকে মারামারি করাও শুরু করে। কেউ কেউ রাত থেকে জুতা রেখে লাইনে নিজের স্থান বুকিং দেয়া শুরু করেছে। আবার অন্যদিকে লাইনের স্থানও বিক্রি করছে কেউ কেউ।
এ ব্যাপারে আমাদের ভাড়া করা প্রতিবেদক ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের অনুভূতি জানতে গেলে আদার ব্যাপারী নামে একজন জানান যে “ভাই এইডা কিছু হইলো? কথা নাই বার্তা নাই গ্যাসের দাম বাড়াইবো? তয় আমরাও কম চালাক না, বুঝলেন? হ্যারা পাতায় পাতায় চললে আমরা চলি শিরায় শিরায়! এহন থেইক্কা গ্যাস সিলিন্ডারে ভইরা ব্যাংকে জমা কইরা রাখুম।”
এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার আমাদের জানান- “ভাই পড়ে আসেন ব্যস্ত আছি।” বিশেষ সুত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কিটি ব্যাংক এবং আমজনতা ব্যাংক সাধারন মানুষের এই অবস্থা বিবেচনা করে বিশেষ সিলিন্ডার সঞ্চয়ী হিসাবের ব্যবস্থা করছে। এতে করে মানুষজন সহজেই সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস সঞ্চয় করতে পারবে। এছাড়া ব্যাংকগুলো গ্যাস ঋণেরও ব্যবস্থাও করেছে যাতে মানুষ ঋণ নিয়ে সহজেই চোরাই মার্কেট থেকে সিলিন্ডার কিনতে পারে ও গ্যাস সংরক্ষণ করতে পারে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য তিতাস গ্যাসের মহাপরিচালককে মিসকল দিলে তিনি আর ব্যাক করেননি।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।