রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে এমন ঘটনায় যখন সারাদেশ বিভোর তখন স্বয়ং রংপুরে ঘটে গেল আরেক আজব ঘটনা। যে ঘটনা এক নিমিষেই রূপপুরের রূপকথাকে হার মানিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন টাইম ম্যাগাজিন। আসলে রংপুরের এক মেয়ে বুয়েটের এক ভাইয়াকে যেভাবে কঠিন রকমের ছ্যাঁকা দিয়ে বালিশ তোলা মানুষটার হাত ধরে চলে গেলেন তা শুধুমাত্র এখন দেশবাসী নয় সারা বিশ্বের সকলকে হতবাক করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধি ঐ মেয়েকে ফোন করলে তিনি ফোন না ধরে মেসেজ পাঠিয়ে জানান- “আরে ভাই, আবেগ দিয়া জীবন চলে না, আমার আসলে অনেক টাকা দরকার। এরপর আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবো আর সেলফি তুলবো আর চেক ইন দিবো। তাই বুয়েটের ওই লুথাকে জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিলাম। এই বালিশ সার্ভিসের ভাইয়াটার এখনই অনেক টাকা, আর কিছুদিন পর যে কত টাকা হবে তা তো আমি কল্পনাই করতে পারতেসিনা! আপনারা সবাই আমাদের দুজনের জন্য দোয়া করবেন যেন বাকি জীবন আমরা সুখে শান্তিতে পার করে দিতে পারি”।
এদিকে এমন ঘটনায় হতবাক জাতি তাদের তিনজনকেই এক সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে আসেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বালিশ তোলা ভাইটি জানান- “দেখেন ভাই, আমি এখন সিআইপি। আমার আসলে এর চেয়ে বেশি কিছু এই সংবাদ সম্মেলনে বলার আছে বলে আমি মনে করি না” তার কথা শেষ হতেই তার হবু বৌ বলেন- “ওই শালা বুয়েটের কান হেলাল একটা গরিব!” এই কথা শেষ করেই তারা দুজন নতুন কেনা লাল রংয়ের বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যান। আর তখন পেছন পেছন বুয়েটের ভাইয়াটি অনেক দৌড়ালেও কিছুদূর গিয়েই আবার কাঁদতে কাঁদতে ফেরত আসেন। এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান- “মিটিলা, ব্যাপী!!! ও মিটিলা ভেপি আমার! তুমি আমাকে ছেড়ে এভাবে ছলে যেতে পারো না। তোমাকে নিয়ে আমার এতো সাজানো গোছানো স্বপ্ন গুলা মিথ্যা করে দিয়া তুমি যদি চলে যাও তাহলে আমি কারে নিয়ে থাকবো? তোমার জন্য আমি সব করতে রাজি আছি”।
এদিকে এই বালিশ টানা হ্যাচড়া করার অনুমতি দেয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা নাম জানানোর (কিন্তু আমরা বলবো না) সুবাদে বলেন- “ভাই দেখেন, দেশের অর্থনীতি এখন কানাডাকে ছাড়িয়ে মঙ্গলে পৌঁছে গেছে, তাই ঐ কথা প্রমান করতেই আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ, আপনারা না আসলে দেশের ভাল বোঝেন না”
এই অবস্থায় আমাদের প্রতিনিধি দেশের ভালো বুঝতে অফিসে রিপোর্ট জমা না দিয়েই পাহাড়ের উদ্দেশ্যে চলে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি এখন সাঙ্গু নদীতে পা ডুবিয়ে বসে আছেন আকাশের দিকে তাকিয়ে।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।