in

মাইরালামাইরালা ভাল্লাগসেভাল্লাগসে কস্কি মমিনকস্কি মমিন সেন্টি খাইলামসেন্টি খাইলাম

ঈদের পর নয়, ঈদের আগেই দর্জিদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামছে বিভিন্ন এলাকার তরুণীরা

বছরের পর বছর দর্জিদের অত্যাচার সহ্য করতে করতে হয়রান হয়ে অবশেষে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার তরুণীরা। সাধারণত সবাই ঈদের পর আন্দোলনের ডাক দিয়ে থাকলেও ঈদের আগেই এই আন্দোলন শুরু হবে বলে জানা গেছে। এই ব্যাপারে মোহাম্মদপুরের এক তরুণীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, “ঈদের জন্য আমি মাত্র ১৩ টা জামা বানাতে দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন শুনি ঈদের আগে নাকি ৬ টার বেশি জামা বানিয়ে দিতে পারবেনা আমার দর্জি। এখন আমি ঈদের পঞ্চম দিন বিকালে কি পড়ে ছবি তুলব! আমার ঈদের আনন্দটাই এই দর্জির বাচ্চার জন্য নষ্ট হয়ে গেল!”

অপরদিকে অনেকের কাছে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে যে, শেষ মুহূর্তে নাকি কোন টেইলার কাপড় নিতে রাজী হচ্ছে না। এই নিয়েও বেশ রাগাম্বিত হয়ে আছেন অনেকেই। বনানীর এক বাসিন্দার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “আমার ঈদের জামার ডিজাইন আমি সোনাম কাপুরের মত করে বানাতে দিয়েছিলাম, কিন্তু আমার পুরো ড্রেসটা একদম নষ্ট করে দিয়েছে আমার দর্জি। এখন আমি ঈদে আমার ফ্রেন্ডদের সাথে কি পড়ে দেখা করব! এভাবেই প্রতিবছর হাজার হাজার মেয়েদের ঈদ নষ্ট করে দিচ্ছে দর্জিরা। সময় মতো কাপড় বানাতেও পারছেনা, আবার ডিজাইন নষ্ট করে আমাদের ঈদের আনন্দ মাটি করছে তারা। তাই এবার সব এলাকা থেকে মেয়েদের নিয়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”এমনকি জানা গেছে অনেক আন্টিরাও তাদের ব্লাউজ এর ডিজাইন নষ্ট করে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই আন্দোলনে যোগদান করবেন।

এদিকে এমন খবর শুনে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশ দর্জি কমিটির সাবেক যুগ্ন সহ-সভাপতির ছোট ভাই মোল্লা ঝন্টু। তিনি তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করতে গেলে থানার এক মহিলা পুলিশ ঈদের জামার কথা বললে তিনি সেখান থেকেও পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই অবস্থায় তিনি তার ননভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন – “সুবোধ তুই পালিয়ে যা, এই শহরে তোর আর জায়গা নেই।”

কিন্তু তার এমন মন্তব্যকে হাইস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফার্মেগেটের এক যাত্রী। তিনি বলেন- উনি কে? এমন স্ট্যাটাস দেয়ার উনি কে? এইডা হাইস্যকর! এইডা হাইস্যকর! এ পর্যায়ে আমাদের প্রতিনিধি নিজেই হাসতে হাসতে অফিসে চলে আসেন এবং হাসতে হাসতে ঘুমিয়ে পড়েন।

বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।

What do you think?

Written by Maisha Farah Oishi

জীবনটা আসলে হিজিবিজি হিজিবিজি

Leave a Reply

যে ১৩টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন আপনি একজন কঠিন আমপ্রেমী

১৪টি সিনেমার নাম দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন কান্ড-কারখানাকে এক কথায় প্রকাশ