ছয় সাত বছরের মধ্যেই একজন শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের কল্যাণে রবীন্দ্রনাথ-নজরুল ইসলামের নামের সাথে পরিচিত হয়ে যায়। ধীরে ধীরে অন্যান্য সাহিত্যিকের সম্বন্ধে জানাশোনা বাড়তে থাকে। মোটামুটি ১৫-১৬ বয়সের মধ্যে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় কৈশোরের এই সময়ে কাজী মারুফের মতো একজন সুযোগ্য বন্ধুর অভাবে অনেকেই খারাপ পথে ধাবিত হয়। চিনে নেয় সানি কিংবা মিয়ার মতো “ইন্টারনেটের-জন্য-নিরাপদ-নহে” টাইপ এর মানুষদের। যাহোক এটা যার যার কৈশোর তার তার ব্যাপার। আপত্তিটা তখন আসে যখন এই নামগুলাকে কেউ কথায় কথায় স্থান-কাল-পাত্র না বুঝে ব্যবহার করতে থাকে। আর আপত্তির সীমা ছাড়িয়ে যায় যখন জানতে পারি যে পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে এই নাম গুলো কেউ ব্যবহার করেছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে এরকম প্রশ্নের মাধ্যমে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলার অধিকার কারো নেই। তাই এই প্রশ্নকর্তাকে টাইট দেওয়ার জন্য উপযুক্ত শাস্তিগুলো হতে পারে এমন-
#১
প্রশ্ন কর্তার ব্রাউজিং হিস্টোরি জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেওয়া
#২
তাকে ব্রাউজারের ইনকগ্নিটো মোড কিংবা ভিপিএন ইউজ করা থেকে আজীবনের জন্য ব্যান করা
#৩
#৪
বলধা গার্ডেনে নিয়ে টানা সাতদিন সকাল সন্ধ্যা হাঁটতে হাঁটতে রবীন্দ্রনাথ, প্রমথ চৌধুরীসহ অন্যান্য সাহিত্যিকদের সম্পর্কে তাকে বিস্তারিত পাঠ দেওয়া
#৫
পরবর্তীতে প্রশ্ন প্রণয়ন এর সময় তার সন্তান, স্ত্রী বা প্রেমিকাকে সামনে বসিয়ে প্রশ্ন তৈরি করানো
#৬
পাঠ্যবই এর সব গল্প-কবিতার কবি/লেখক পরিচিতি ভালো করে পড়িয়ে এই প্রশ্ন পাওয়া শিক্ষার্থীদের সামনে তার মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া
#৭