ঈদ আসলে বাস-ট্রেন অগ্রীম টিকেট ছাড়ার সাথে সাথে আলোর গতিতে টিকেট কালো বাজারে চলে যায় অথবা টিকেট ডেস্ক ফকফকা ফাঁকা হয়ে যায়। টিকেট না পেয়ে যারা চোখে অন্ধকার দেখছেন তাদের জন্য বাড়ি যাওয়ার কিছু বাংলা টিপস নিয়ে এলো বেঙ্গল বিটস।
১। গরু বহনকারী পিকআপ ভ্যান
এলাকার অনেকেই ঢাকা থেকে গরু কিনে পিকআপে করে গ্রামে নিয়ে যায় কোরবানির জন্য। আপনার এলাকার পরিচিত এমন কোন ব্যক্তি খুঁজে নিন। এরপর উঠে পড়ুন। এক্ষেত্রে আপনাকে বসতে হতে পারে পিকআপের পেছনে গরুর সাথে। একটু গোবর ও গোমূত্রের ছিটা হয়তো পড়বে শরিরে। বাড়ি ফেরার জন্য এতটুকু সমস্যা সহ্য করুন অথবা একটা রেইনকোট নিয়ে নিন। এলাকার পরিচিত কাউকে না পেলে রাস্তায় দাঁড়ালেও দুএকটা পিকআপ ভ্যান পেয়ে যেতে পারেন।
২। ভৃত্য পদ্ধতি
তাগড়া দেখে কোরবানির গরু ঢাকা থেকে কিনুন। এরপর একজন বন্ধুকে সাথে করে গরু নিয়ে হেঁটে রওনা দিন বাড়ির উদ্দেশ্যে। একজন ভৃত্য হন একজন আরোহি। কিছুক্ষন পরপর পজিশন চেঞ্জ করুন। ঈদের আগে না হলেও ঈদের পরে বাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন বলে ধারনা করছি।
৩। ভ্রাম্যমাণ গরু ব্যবসায়ী হয়ে
ঢাকা থেকে একটা গরু কিনুন, সেই গরু আপনার বাড়ির পথে কোন বাজারে কিছু লাভে বিক্রি করে আরেকটা কিনুন। গরুর হাট থেকে কিছু ব্যবসায়ীর সাথে পরিচিত হয়ে ওনাদের সাথে বাড়ির পথে অন্যকোন বাজারে যান। এভাবে পৌঁছে যেতে পারবেন বাড়ি পর্যন্ত। সাথে কিছু আয় রোজগারও হবে। এই পদ্ধতিতে রওনা দেয়া অনেকেই বাড়ির কাছাকাছি আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
৪। হকার পদ্ধতি
গরুর সুস্বাদু কলিজা রন্ধনপ্রণালী, সহজে গরুর চামড়া ছাড়ানোর চাইনিজ মেশিনের সাথে কিছু স্পেশাল মশলাসহ একটা প্যাকেজ পন্য প্রস্তুত করুন। এরপর কোম্পানির প্রচারের জন্য অর্ধেক দামে স্বল্পদূরত্বের বাসগুলোতে বিক্রি করতে করতে রওনা দিন। ঢাকার বাসিন্দা হলে আপনি জানেন কিভাবে বিক্রি করতে হবে। এভাবে ৫-৬ টা বাস পরিবর্তন করে বাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন।
৫। গরুর হাটের খবর সংগ্রাহক পদ্ধতি
দেশে যতসংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে ততসংখ্যক ব্যাঙ্গের ছাতা আর খবর সংগ্রাহকও নাই। এমন যেকোন একটা নিউজ পোর্টালের খবর সংগ্রাহক হয়ে অথবা কোন ইউটিউব চ্যানেলের “পথে পথে গরুর সাথে” টাইপ অনুষ্ঠানের হোস্ট হয়ে বাড়ির পথের গরুর হাঁটের খবর সংগ্রহ করতে করতে স্বল্পদূরত্বে চলা বাসগুলোতে করে বাড়ি পৌছে যেতে পারবেন।