এবার সারাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সারাবিশ্বের সীমানাও পেরিয়ে পৃথিবী থেকে ৫৩ মিলিয়ন আলোকবর্ষ ‘দূরে গিয়ে না মরলেও’ মুক্তি পেল কাজী মারুফের অভিনীত সুপার-ডুপার হিট ও মারামারি-কাটাকাটি এবং অবশ্যই গালাগালি (অবশ্যই কু*আর বাচ্ছা) সমৃদ্ধ নতুন সিনেমা “ব্ল্যাক বন্দুক”। এ ব্যাপারে আজ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব (যেহেতু সায়েন্স) ফুটওভারব্রিজের উপর এক বিশেষ ধরণের মহরতের আয়োজন করা হয়। এই মহরতে কাজী মারুফ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাজী, মারুফ কাজী, মারুফ, হায়াৎ, হায়াৎ কাজী ও কাজী হায়াৎসহ আরও কিছু অভিনয়শিল্পী। মহরতের পর তারা সকলেই ছবির গল্প ও অভিনয় নিয়ে জানান যে ইহা অতি মাত্রায় উন্নত প্রজাতির একটি সিনেমা। এর সাথে তাদের একজন আরও যোগ করেন- “ভাই এই সিনেমাকে আমি বলবো ব্ল্যাক বন্দুক নামক এক শিল্প। এখানে চলচ্চিত্রের শৈল্পিক ব্যবহার করে এতো সুন্দর ভাবে গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে এই সিনেমা কুরোশাওয়া, টারকোভস্কি কিংবা কোঁয়ান্টাম ট্যারান্টিনোর সিনেমাকে ছাড়িয়ে গেছে। আমি এমন সিনেমা দেখে মরতে পারছি বলে অত্যন্ত গর্ব বোধ করছি।”
তবে এই সিনেমা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিনেমার প্রযোজক, নির্মাতা, সম্পাদক এবং অভিনেতা জনাব কাজী মারুফ জানান- “দেখেন ভাই সিনেমা হইলো আমার রক্তে বুঝলেন, এই যেমন ধরেন আমি আসলে সিনেমা বানানো শিখছি একদম আমার বাপের হাত ধরে. তবে আমি এক্ষেত্রে নিজের স্বকীয়তা নাজাত রেখেছি বলতে পারেন। কারণ আমার বাপ্ সিনেমা বানানোর সময় পান খেলেও আমি কিন্তু চুইং গাম খাই.” উনি সিনেমার গল্প রেখে টানা ২ ঘন্টা নিজের গল্প বলা শেষ করে টায়ার্ড হয়ে থেমে গেলে আমাদের প্রতিনিধি তাকে সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিলে উনি বলেন- “ও আচ্ছা! যাই হোক, আমার এই সিনেমার গল্প অনেক আলাদা, এখানে আমি কুত্তার বাচ্চা শব্দটি ব্যবহার না করলেও ডগির বাচ্চা ব্যবহার করেছি। তাই আশা করি এই সিনেমা আপনারা পরিবার সহ দেখতে পারবেন। তাই বৈশাখে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে সবাই মিলে হোলে গিয়ে আমার ছবি দেখবেন” কিন্তু এতদূরে গিয়ে মানুষ মরবে থুক্কু সিনেমা দেখবে কিভাবে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন – “নাসা কর্তৃপক্ষ আমার এই সিনেমার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। আপনারা এসব নিয়ে একদমই চিন্তা করবেন না।”
নাসার সাথে যোগাযোগ করা হলে নাসার মুখপাত্র পাশা মোল্লা জানান – “আমরা এই সিনেমা দেখতে ও দেখাতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। আশা করি আপনারা সবাই মিলে হোলে গিয়ে মারুফ বাইয়ের ছবি দেখবেন।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।