এবার খাল কাটতে বাংলাদেশ চলে এলো খাল দ্রোগো

সম্প্রতি গ্রেট গ্রাসের একটি ডোথরাকি খালাসারের অধিপতি “দি গ্রেট খাল” খ্যাত জনাব খাল দ্রোগো একটি কূটনৈতিক ভ্রমণে বাংলাদেশ আসেন। বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ হিসেবে জানলেও গ্রীষ্মের তাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে, কোথাও পানি না পেয়ে অবশেষে দেশের সর্বত্র খাল খননের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। খাল দ্রোগোর স্ত্রী খালিসি ড্যানেরিসের আয়রন থ্রোন দখল করা সম্পর্কিত কিছু রাজনৈতিক সাক্ষাৎ করতে বাংলাদেশে আসেন জনাব দ্রোগো। তার সাথে আরো আসেন তার তিনজন ব্লাড রাইডার ও ৬টি ঘোড়া। ঢাকায় এসে প্রথম দিন কিছু মিটিংয়ে কাঁটিয়ে পরে সঙ্গী সাথিদের নিয়ে ঘুরতে বের হন খাল দ্রোগো। এরই মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পানি সংকটও জলাবদ্ধতা সম্পর্কে অবগত হন তিনি।

এরপর খাল খনন প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটি সংবাদ সম্মেলনে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন খাল দ্রোগো। ঘোড়ায় করে সংবাদ সম্মেলনে ঢুকে তিনি বলেন, “খাল ভাসজি গেরেও আদো রুন আনে ভাসোই মান। মিজি গেরি সাজাসুন দিস্সে। (একজন খালের বসার জন্য চেয়ার লাগেনা। তার ঘোড়াই তার জন্য যথেষ্ট।) ওহ্! আপনারা তো আবার ডোথরাকি বোঝেন না। যাই হোক, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় খাল খনন করব। আমার সিদ্ধান্ত আমি কার্যকর করবই।

এই দেশে আসার পর থেকেই গরমে মারা যাইতেসি, এসি থেকে বের হওয়া যায় না। ভাবসিলাম নদীমাতৃক দেশ, পরে দেখি কিসের নদী, পানিই নাই। ক্ষেত-খামারে কৃষকরা পানি পাইতেসে না, কিয়েক্টা অবস্থা! এর চেয়ে গ্রেট গ্রাসের মরুভূমিই ভালো। কিন্তু আমি ইয়ের জালান আথ্থিরারি আন্নি (আমার জীবনের চাঁদ) মানে খালিসির সাথে কথা বলসি, ও বলসে এই দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যাইতে।”

তবে খালিসির বন্ধু কাম প্রটেক্টর স্যার জোরাহ মরমন্ট এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন- “আরে ভাই, এগুলা স্টান্টবাজি। বুঝলেন ভাই, এইসব আসলে আমার খালিসিকে পটানোর ধান্ধা! আমরা তো খাই না সুজি, কিছুটা হইলেও আমরা বুঝি!”

খাল দ্রোগোর ভ্রমণ পরিকল্পনায় আরো অনেক কিছু থাকলেও বর্তমানে খাল খননের দিকেই পুরো মনোযোগ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলন জুড়ে খাল খননের বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন খাল৷ মিরপুরের জলাবদ্ধতা রোধেও তার খনন করা খাল ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।

তার বক্তব্যের শেষে খাল দ্রোগো বলেন, “এই শহরে রাস্তায় পানি জমে থাকে, অথচ নদী-নালায় পানি নাই! এইটা কিভাবে হয়? আমি এইসব সমস্যার সমাধান করে দিবো। এই খাল দ্রোগো খনন করবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খাল, দ্রোগো খাল। আমি ভারবোর ছেলে দ্রোগো। আমি কখনো কোনো কাজে ব্যর্থ হইনা। দেখেন আমার চুল কত বড়। কেউ কখনও কাটতে পারে নাই, কারণ কাঁচি ঢুকে না। কিন্তু দরকার হইলে সকল কাঁচি, ছুড়ি, কোঁদাল, শাবল নিয়ে আসব। খাল খনন আমি করবই। কিজিনি আনহা আসতাক আসক্বোয়, আনহা, দ্রোগো কিভার বোসি। কিজিনি আনহা আসতাক আসক্বোয় হাতিফ মাইসি ক্রাযাজি কাশশিযেরা হিভিতি হিরি আসাভ্ভাসুন। (আমি, ভারবোর ছেলে দ্রোগো, আমি শপথ করতেসি আপনাদের সামনে। আকাশের তারাকে সাক্ষী রেখে পর্বত মাতার নামে শপথ করতেসি।)”
আজকে খালখননের জন্য ভূমি অফিসে গিয়ে জমি সংক্রান্ত আলাপ করার কথা খাল দ্রোগোর।

বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।