পুরান ঢাকার খাবারের নাম শুনলেই চোখের সামনে প্রথমেই ভেসে উঠে বিরিয়ানী। আর অধিংকাশ মানুষের মুখে ঘুরে ফিরে থাকে অল্প কিছু নাম ই হাজীর বিরিয়ানী, নান্না বিরিয়ানী বিসমিল্লাহ কাবাব, কিন্তু পুরান ঢাকাতো আর একটুখানি জায়গা নয় আর সেখানকার মানুষ সারাক্ষণ বিরিয়ানী খায় বিষয়টা এমন ও নয়। আজ আমরা জানাবো পুরান স্থানীয় ভাবে খুব জনপ্রিয় অখ্যাত কিছু ফুড ডেস্টিনেশন সম্পর্কে যারা বছরের পর বছর ধরে ঢাকার মানুষদের রসনা বিলাস করে আসছে। এসব দোকানের দরকার হয়না কোন ফেসবুক পেইজের কিংবা প্রচারণার নামের জোরেই স্থানীয় মানুষের ভীড় লেগে থাকে এসব দোকানে।
#১ কিছুক্ষন রেস্টুরেন্ট
নামের সাথে কাজের যথেষ্ট মিল রয়েছে গেন্ডারিয়ার কাঠের পুল পেড়িয়ে ডিস্টিলারী রোডের কিছুক্ষণের।খাওয়ার আগে আপনাকে সিটের জন্য আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। এখানে ডিম চপ, কাটলেট,সুপ মোঘলাই অনেক কিছু পাওয়া গেলেও। কিছুক্ষণ মূলত এর স্পেশাল সূপ আর কাটলেটের জন্য বিখ্যাত। দাম ও হাতের নাগালের মধ্যেই আপনি ১০-৬০ টাকার মধ্যেই এদের সব আইটেম পেয়ে যাবেন।
#২ চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্ট
বাংলাবাজারের নর্থব্রুক রোডের একদম শেষ মাথায় অবস্থিত চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্ট মূলত বিখ্যাত এর লুচি ডাল এবং হাফফ্রাই ডিম অমলেটের জন্য। যারা এখনো খাননি তাদের জন্য বাংলাবাজার গেলে মাস্ট ট্রাই আইটেম। দাম লুচি ৫ টাকা করে ডাল ২ টাকা এবং ডিম ১৫ টাকা করে।
#৩ ক্যাফে কর্নার
৬০ বছর ধরে পুরান ঢাকার মানুষদের মন জয় করে আসছে ক্যাফে কর্নারের লোভনীয়সব আইটেম।এটিও নরথব্রুকে চৌরঙ্গীর একদম উল্টা পাশেই অবস্থিত ক্যাফে কর্নার এর নাশতা সকালের নাশতা: ডাল, ভাজি, হালুয়া, পরটা, ডিম, চা। দুপুরে: মোরগ পোলাও এবং অন্যান্য খাবারের ব্যাবস্থা। বিকেলে: ক্রাম্ব চপ, কাকলেট, চিংড়ি ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, ফিস ফ্রাই, ফিস চপ, মোগলাই। এরা মূলত ক্রাম্ব চপের জন্য বিখ্যাত দাম ১০০ টাকা
#৪ বুদ্ধুর পুরি
পুরান ঢাকার সবচেয়ে নামকরা এবং পুরনো পুরির দোকানের নাম বুদ্ধুর পুরি।১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ দোকানে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজারের উপরে পুরি বানানো হয়। দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে পুরি খেতে আসেন। এদের স্পেশাল আইটেম ডিম পুরি।
#৫ ধোলাইখালের ফিরোজ ভাইয়ের কাবাব
ধোলাইখাল টং মার্কেটের একদম সামনেই রাস্তায় দেখতে পাবেন ফিরোজ ভাইয়ের কাবাবের পসরা।কাবাব প্রেমীদের জন্য মাস্ট ট্রাই আইটেম।একদম গরম গরম চোখের সামনেই কাবাব বানিয়ে পরোটা ভেজে দেবে। দাম ও হাতের নাগালের মধ্যেই গুরদা, তিল্লী, মুরগীর শিক ২০ টাকা করে আর আর ব্রোস্টেড চিকেন খেতে চাইলে ৬০-৮০ টাকার মধ্যেই আর সাথে তো আছে মজাদার টক সালাদ।
#৬ সুলতানের চা
বাহাদুর শাহ পার্কের একদম সাথেই পেট্রল পাম্পের সাথেই বসেন। সন্ধ্যা বেলা সেখানে গেলেই লেবুর সুঘ্রাণ ই আপনাকে চিনিয়ে দেবে সুলতান ভাইয়ের চায়ের দোকান। লেবুর সাথে বিটলবন এ আর এমন কি কিন্তু একবার না খেলে এর মাহাত্ন্য আসলে বলে বোঝানো যাবে না
#৭ গ্রীন সুইট্মিট
পুরো নাম মোহাম্মদ আলী গ্রীন সুইটমিট কিন্তু সবাই চেনে গ্রীন সুইট্মিট নামে পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজারের বিবিসি রোডে হোটেল স্টার যেখানে ছিলো তার অপজিটেই অবস্থিত। বসার কোন জায়গা নেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেতে হবে সন্দেশ লাড্ডু অনেক কিছু পাওয়া গেলেও এদের মাস্ট ট্রাই আইটেম সকালের নাস্তায় লুচি গাজরের হালুয়া আর টক দিয়ে ভাজি
#৮ দেলোয়ারের চা
স্বামীবাগ ছাড়িয়ে একটু সামনে গেলেই দেলোয়ারের চায়ের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাজারো মানুষের ভীড় নামে দেলোয়ারের চায়ের দোকানের সামনে। এলাকার তো বটেই দুর দূরান্ত থেকে মানুষ খেতে দেলোয়ারের স্পেশাল চা
#৯ শাহী দিল্লী সুইটমিট
পুরাণ ঢাকার পাটুয়াটূলী রোডে অবস্থিত শাহী দিল্লী সুইটমিট। বিভিন্ন ধরনের মিস্টান্ন আইটেম ছাড়াও দোকানটি এদের নাস্তা আইটেম লুচি ভাজির জন্য বিখ্যাত।এদের এখানে বিভিন্ন ধরনের হালুয়া পাওয়া যায় এবং চায়ের জন্যও শাহী দিল্লী সুইট্মিট বেশ জনপ্রিয়।
#১০ দেশবন্ধু
টিকাটুলীতে অবস্থিত দেশবন্ধু রেস্টুরেন্ট এন্ড সুইট্মিট মূলত সকালের নাস্তার জন্য বিখ্যাত। মতিঝিল টিকাটুলীতে কখনো যাওয়া হলে দেশবন্ধুর পরোটা ভাজি হালুয়া মাস্ট ট্রাই আইটেম।