আজ ফ্রেন্ডশীপ ডে। দিবসটিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে পালন করছে সারা বিশ্ব। কেউ কেউ তাদের বন্ধুদের নানারকম উপহারও প্রদান করছেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাদের নিজস্ব বন্ধু-বান্ধবদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ শুভেচ্ছা জানানোর সময় নানান বিষধর সাপের ছবি ব্যবহার করছেন। ফেসবুকে খোঁঁজ নিয়ে দেখা গেলো, বেশিরভাগ লোক একেবারে সরাসরি সাপ বলে সম্বোধন করছেন তাদের বন্ধুদেরকে।
তেমনি নেত্রকোনা সদরের আরাফাত হোসেনকে ‘কালসাপ’ বলে সম্বোধন করে ফেবুতে শুভেচ্ছা জানান তার দুই বন্ধু মোখলেস মিয়া এবং সজীব খান। এ সম্বোধনটি একেবারে নিতে পারেননি আরাফাত। মারাত্মক মনকষ্টে তিনি মোড়ের দোকানে বসে থাকেন। অত:পর তার ঐ দুই বন্ধুকে ট্রিট দিবেন বলে ডেকে আনেন তিনি। তার কথামত শহরের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাবার অর্ডার দেয়ার পর পালাক্রমে দুইজনকে কামড়ে দিয়ে পালিয়ে যান আরাফাত।
মোখলেস এবং সজীব দুজনই বেশ আহত হন। এদিকে আরাফাতের সাথে যোগাযোগের বহু চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি আত্নগোপনে চলে গেছেন। আমরা আহত সজীব এবং মোখলেসের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। জানতে চাই তাদের অনুভূতি।
মোড়ের চায়ের দোকানে ব্যান্ডেজ হাতে বসে কাতরাচ্ছিলেন দুজন। সজীব আমাদেরকে বলেন, “আরাফাইত্তারে সাপ ডাইক্যা কি ভুল করসি কন? হালা তো একটা কালসাপই। কেমনে কামড় দিলো দেখছুইন?” তাকে থামিয়ে দিয়ে মোখলেস বলেন- “চা-সিগারেট দিয়ে আমরা এতদিন একটা কালসাপ পুষছিলাম ভাই। না না, কি কইতাসি, হালায় তো কুত্তা।কুত্তার মতো কামড়াইসে পুরা। ব্যথায় লড়তারি না ভাইজান। ওরে পুংটামি কইরা সাপ ডাকলেই সে আমরারে কামড়াইবো?” বলতে বলতে তিনি কান্না করে দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সজীব আর মোখলেসের গার্লফ্রেন্ডরা ঝাড়ু নিয়ে আরাফাতকে খুঁজছেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।